বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে, এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। আম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, অবিলম্বে জাতীয় সড়ক অন্তত সাময়িকভাবে সংস্কার না করা হলে ভিনরাজ্যে আম পাঠানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
উদ্যানপালন দপ্তরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, আমরা জানি প্রায় এক লক্ষ মেট্রিকটন আমের ক্ষতি হয়েছে এই মরশুমে। বাকি যে আম এখনও রয়েছে, ভিনরাজ্যে তার চাহিদা রয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ভিনরাজ্যে নির্বিঘ্নে আম পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। দিল্লিতে প্রিন্সিপাল রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁর দপ্তর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মালদহের আম অন্য রাজ্যে পাঠাতে যেন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
কিন্তু আম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কার্যকরী ভূমিকা থাকলেও ভিনরাজ্যে আম পাঠানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খানাখন্দে ভরা জাতীয় সড়ক। মালদহ আম ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কারণে ভিনরাজ্য থেকে আসা অর্ডার অনুযায়ী যথাসময়ে আম পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় আম বোঝাই লরিগুলি বিকল হয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত ওই লরিগুলি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে আম না পেয়ে ভিনরাজ্যের অনেকেই অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়ে জাতীয় সড়ক প্রাথমিকভাবে সংস্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। আম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আমাদের অনেকেরই বাতানুকূল কন্টেইনারে করে ভিন রাজ্যে আম পাঠানোর সামর্থ্য নেই। তাতে খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে ব্রেকডাউনের কারণে অচল হয়ে থাকা লরিগুলির আম অনেক ক্ষেত্রে পচে যাচ্ছে। কিংবা পেকে যাচ্ছে। সেই আম নিতে রাজি হচ্ছেন না অন্য রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। এতে আমরা মহা ফাঁপড়ে পড়ছি।
মালদহের আম ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মালদহের আমের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য মালদহের আম আমদানি করে।
অকাল শিলাবৃষ্টি, লকডাউন, উম-পুন সহ একাধিক কারণে এবছর মালদহের আমের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কম হয়েছে বলে দাবি আম ব্যবসায়ীদের। ফলে আম ব্যবসায় ঢালা অর্থের কতটা ফেরত আসবে তা নিয়ে রীতিমতো সন্দিহান তাঁরা।