কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বামনগোলার বিডিও সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে বিডিও অফিসের সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার জাল। এই টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ম লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। আমি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। এবিষয়ে মদনাবতী পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা হালদারের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সিল এবং সিগনেচার বিডিও অফিস থেকে করানো হয়েছিল। অন্যান্য অফিসেও নিয়ম মেনেই আমরা রিসিভ করিয়েছি। বিষয়টি প্রচার মাধ্যমকেও অবগত করা হয়েছিল। এখানে উন্নয়নের জন্য টেন্ডার আমরা করেছি। কিন্তু উন্নয়নের বাধা দেওয়ার জন্যই এধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে বলে মনে হয়। এতে দলেরই একাংশের যোগসাজশ থাকতে পারে। তবে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সব ধরনের তদন্তের জন্য তৈরি রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনও টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হয়নি।
বামনগোলা ব্লক তৃণমূলের নেতা অমল কিস্কু বলেন, পঞ্চায়েত স্তরে দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কী হয়েছিল বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনও নিয়মবহির্ভূত কাজ হয়ে থাকলে সেটা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে। উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, বিডিও অফিসের সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার চালু করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বড় ধরনের অপরাধ। স্বয়ং বিডিও এনিয়ে অভিযোগ করেছেন। এর থেকে প্রমাণিত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে কীভাবে লুটের কারবার চলছে। এটাই তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি। এদিন মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত তা প্রমাণ করে দিল।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পঞ্চায়েত এলাকায় বেশকিছু ঢালাই রাস্তা ও সাব মার্সিবল পাম্পের জন্য ৮০ লক্ষ টাকার টেন্ডার করে। পঞ্চায়েত গত মাসের ১৬ জুন পাঁচটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন ইঙ্গিত পায়। সেই সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও শুক্রবার পঞ্চায়েতের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালায়। তাতে প্রশাসনের কর্তাদের চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। বিডিও লিখিতভাবে প্রশাসনকে যে অভিযোগ জানিয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়ম ভেঙেছে। সেই টেন্ডারের নথিপত্রে যে সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার রয়েছে তা পুরোপুরি জাল।