পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মৃতদের মধ্যে একজন হলেন শিলিগুড়ি শহরের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৬০। স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল হয়ে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর সোয়াব টেস্টে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁকে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের আত্মীয়রা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন। মৃতের মেয়ে বলেন, বাবাকে প্রথমে শহরের দু’টি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। বেড না থাকায় তারা ভর্তি নেয়নি। তারপর শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনকে ১০০ টাকা দেওয়ার পর বাবাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ইসিজি করাতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পর বাবাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডের যে বেড দেওয়া হয়, সেটি ছিল নোংরা। বেডে বিড়াল শুয়ে ছিল। রাত ১২টা নাগাদ সেখান থেকে বাবাকে মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তখন সেখানে হাসপাতালের কোনও কর্মী ছিলেন না। ছিল না স্টেচার বা হুইল চেয়ার। লিফটও বন্ধ ছিল। শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোনওরকমে সিঁড়ি ভেঙে একতলার রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যান বাবা। এরপর রাত ১টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা শুরুই হয়নি। তাই এমন পরিণতি হল।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অমিতাভ মণ্ডল অবশ্য বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব। তবে এই হাসপাতালের ওয়ার্ডেই ইসিজির সুব্যবস্থা আছে। আর এখানে বিড়ালের কোনও উপদ্রব নেই। ওই রোগীর পরিবারের লোকদের অভিযোগ নিয়ে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন বাজলেও ধরেননি।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার শহরের একটি নার্সিংহোমে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দার্জিলিং জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জন। যারমধ্যে ২৮ জন শহরের এবং পাঁচজন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। এদিন জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ১২ জন। এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ি সহ সমগ্র জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে ৮০০।