বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবারও জেলায় নতুন করে ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকই ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা। শহরে মোট ২১ জনের শরীরে নতুন করে এদিন করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। বাকি আক্রান্তদের মধ্যে ন’জন কালিয়াচক-১ ব্লকের বাসিন্দা, চারজনের বাড়ি পুরাতন মালদহ শহরে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১, চাঁচল-১ এবং ইংলিশবাজার ব্লক এলাকার বেশ কয়েকজন রোগীও রয়েছেন।
এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৯৮৯। কয়েকদিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। কীভাবে করোনার থাবা থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করা যাবে তা নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা চিন্তিত। লকডাউনের সুফল যে জেলা এখনও পেতে শুরু করেনি, তা এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহে করোনা সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে দৈনিক ৪০-৫০ জন করে মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম জেলা হিসাবে মালদহে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে জেলার সব জায়গায় ওই লকডাউন বলবৎ হয়নি। ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের সঙ্গে কালিয়াচক, সুজাপুরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন চালু করা হয়েছে। এদিন আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই কিন্তু ওই চার জায়গার বাসিন্দা।
এব্যাপারে মালদহ জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, লকডাউনের সুফল এখনই পাওয়া যাবে না। এমনকি সাত দিনে আমরা কতটা সফল হব তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। যেভাবে জেলায় ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে, তাতে আগের মতো সম্পূর্ণ লকডউন দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ রাখা প্রয়োজন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিধায়কের পরে এবারে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ থেকে ১৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাঁদের মধ্যে গঙ্গারামপুরের বিডিও সহ ছয় জন, কুমারগঞ্জের সাত জন ও বালুরঘাট ব্লকের দু’জন রয়েছেন। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯৯। অন্যদিকে, রাজ্যে সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় করোনায় একজনের মৃত্যু দেখানো নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ১৮ বছর বয়সী বালুরঘাটের জলঘরের বাসিন্দা ওই যুবক শিলিগুড়িতে একটি পথ দুর্ঘটনায় জখম হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। কলকাতাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও ১৩ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা। বাকিরা রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩৫৩ জন।