গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোভিড পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার পর কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আরটিপিআর মেশিন মেডিক্যাল কলেজকে দেয়। সেই মেশিনের মাধ্যমেই কোভিডের নমুনা পরীক্ষা করার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এত দিন পর জানা গেল কিটের সঙ্গে মেশিনের সামঞ্জস্য না থাকায় সেখানে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব নয়। তবে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। তাদের দাবি, খুব শীঘ্রই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আরটিপিসিআর মেশিন আসবে। আর সেটা এলেই নমুনা টেস্ট করা সম্ভব হবে।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সুকুমার বসাক বলেন, এর আগে তিনবার কোয়ালিটি কন্ট্রোলের রিপোর্ট আইসিএমআর অনুমোদিত ভূবনেশ্বরে এইমসকে আমরা পাঠিয়েছি। সেগুলি নাকচ হয়ে যায়। এরপর আমরা ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে জানতে পারি যে নির্দিষ্ট কিট ওই মেশিনটিতে দেওয়া হচ্ছে তা সাপোর্ট করছে না। সেই কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজে আরটিপিসিআর মেশিন চাওয়া হয়েছে। সেটি এলে এখানেই করোনা টেস্ট করা হবে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ওই মেশিন চলে আসবে।
কোভিড পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার পর থেকেই কোচবিহার জেলায় প্রচুর পরিমাণে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভিআরডিএলে পরীক্ষা করিয়ে আনা হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা পাঠানো যেমন একটা সমস্যা তেমনি এরজন্য সময়ও বেশি লাগছে। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে একটি আরটিপিসিআর মেশিন বসানোর উদ্যোগ শুরু হয়। পাশাপাশি ট্রুন্যাট মেশিনও বসানো হয়েছে। সেটিতে কাজ হচ্ছে।
মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, যে আরটিপিসিআর মেশিনটি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাওয়া গিয়েছিল সেটি খুব ভালো কোম্পানির মেশিন। কিন্তু তার অনেক মডেল রয়েছে। যে মেশিন এখানে রয়েছে সেটির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেসব মেশিন অন্যান্য জায়গায় এসেছে সেই মেশিনের সঙ্গে এই মেশিনের ফারাক রয়েছে। ওই মেশিনটি গবেষণার জন্য ব্যবহার করা গেলেও এই কাজের জন্য তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ভুবনেশ্বর এইমসের সঙ্গেও কথা বলেছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকেও জানানো হয়েছে আইসিএমআর অনুমোদিত মেশিন ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হবে না। এরপরেই স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হলে একটি মেশিন দেওয়া হবে সেখান থেকে জানানো হয়েছে বলে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।