পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শিলিগুড়ি শহরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কখনও হাল্কা, আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবারও সকাল থেকে আবহাওয়া অপরিবর্তিত ছিল। এর জেরে শহরের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট মোড়ের কাছে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। সেই রাস্তার পাশেই রয়েছে শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, শিলিগুড়ি আদালত, অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগার, ডাকঘর। এদিন সকালে সেখানে নামানো হয় পাম্প সেট। কয়েক দফায় পাম্প চালিয়ে সেই রাস্তা থেকে জল তুলে সেসপুলের ট্যাঙ্কে করে নিয়ে গিয়ে শহরের বাইরে ড্রেনে ফেলা হয়।
এরবাইরে চম্পাসারির পোকাইজোত, চম্পাসারি মোড় এলাকা, ইস্টার্ন বাইপাস, ফুলেশ্বরী আন্ডারপাস, ডাবগ্রাম মাতৃসদনের পিছনের রাস্তা, জ্যোতির্ময় কলোনির মাঠে, এনটিএস মোড়, শহর সংলগ্ন মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরের রাস্তায় বৃষ্টির জল জমে যায়। সেই জল ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে শহর ও শহরতলির বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁরা পুরসভা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, শুখা মরশুমে নিকাশি নালা সংস্কার করা হয়নি। শহরের আশপাশ এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির নাব্যতা বাড়ানো হয়নি। যারফলে সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এখনই প্রশাসন এ ব্যাপারে নড়েচড়ে না বসলে ভারী বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
সেচ দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় শিলিগুড়িতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫২ মিলিমিটার। আজ, শনিবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা। প্রশাসন ও পুরসভার আধিকারিকরা বলেন, এদিন বিকেলের দিকে বৃষ্টির দাপট কমার পর অনেক এলাকা থেকেই জল নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। শহর ও শহরতলির নাকাশিনালাও চাঙ্গা করা হয়েছে।