কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এই জেলায় সেই অর্থে ফ্লাড সেন্টার নেই। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে স্কুলঘর, স্কুলের হোস্টেল, সরকারি ভবনই হয়ে ওঠে অস্থায়ী ফ্লাড সেন্টার। বন্যা দুর্গতদের সেখানেই আশ্রয় দেওয়া হয়। জল নামলে দুর্গতরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যান। গত সপ্তাহের বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছিলেন ত্রাণ শিবিরগুলিতে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তাঁরা একে একে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন থেকে ফের ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। দু’দিন ধরে এই বর্ষণ চলতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের মত।
জেলা পরিষদের সেচ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ছিল। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। জেলা সেচ দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। ফ্লাড সেন্টারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা বর্ষণের পূর্বাভাস তো ছিলই। সেই অনুযায়ী ফ্লাড সেন্টারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকার স্কুলঘর, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের হস্টেল, তফশিলি জাতি উপজাতি পড়ুয়াদের হস্টেলগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্গতরা যাতে খাদ্য সঙ্কটে না পড়েন, সেই অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রিপল রয়েছে। জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, ত্রিপল বিলিতে কোনও রাজনীতির রঙ দেখা হবে না। সকল দুর্গত ত্রিপল পাবেন। ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল জেলায়। সেই বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি সাহায্য পৌঁছতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা চাওয়া হবে।
জেলা সেচ বিভাগ সূত্রের খবর, বন্যা রোধে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার প্রধান নদ নদীগুলির জলস্তর প্রায়শই মেপে রাখা হয়। ১০০ দিনের প্রকল্পে শ্রীমতী, নাগর, কুলিক, সুঁই নদীর গর্ভ খনন করা হয়েছে। আগামী দিনে জেলার অন্য নদীগুলিতেও এই খনন কার্য চলবে। দুবর্ল নদী বাঁধগুলি পাথর দিয়ে বাঁধানো হচ্ছে, যাতে বাঁধ ভেঙে নদীর স্রোত গ্রামে না ঢুকে পড়ে। এছাড়া লোহার রড, বাঁশ, মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এই সব প্রকল্পের কাজ বর্ষা আসার মাস দুয়েক আগে থেকেই চলছে জেলায়।