কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিসের তরফে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল সবাইকে। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে বারবার গুজব না ছড়ানোর জন্য প্রচার করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটায়, সেক্ষেত্রে পুলিস অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ নেবে।
রাজগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে এর মানে এটা অবশ্যই নয় যে, কোনওভাবে কোনও ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানো হোক। আমরা বারবার করে মানুষকে গুজব ছড়ানো থেকে দূরে থাকতে আবেদন করেছি। তা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যদি কেউ গুজব ছড়ায় বা করোনা সংক্রমণ নিয়ে অপপ্রচার চালায়, তবে প্রশাসন অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ নেবে।
রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বাড়তেই একাধিক গুজবে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করছেন। আবার কেউ বা ফোনে পরিচিতদের মধ্যে নানা ভুল খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেসব ভুয়ো খবর নিশ্চিত করতে অনেকে আবার প্রশাসনের নানা মহলে ফোন করছেন। পুলিস, জেলাস্তরের স্বাস্থ্যকর্মী বা পুরসভার কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করছেন খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্য। বার্ধক্যজনিত কারণে বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতায় শহরে কারও মৃত্যু হলেও রটে যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা। পাশাপাশি শহরের কোন এলাকায় সংক্রামিতের খোঁজ মিলেছে, তা নিয়েও ছড়াচ্ছে গুজব। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রায়গঞ্জ শহরে ইতিমধ্যে একাধিক বাসিন্দা সংক্রামিত হয়েছেন। কিন্তু নিত্যদিন কিছুটা আতঙ্কের বশে, আবার কিছুটা অতি উৎসাহী হয়ে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের মধ্যে। তাতেই বাড়ছে আতঙ্ক। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের বেশিরভাগই দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছেন। তবুও করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, লকডাউন নিয়েও নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুনরায় লকডাউনের প্রথম দিনে রায়গঞ্জ শহরের দু’টি কন্টেইনমেন্ট জোনে অবশ্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে দোকানপাট কার্যত বন্ধ ছিল।