কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মার্চ মাসের শেষের দিকে যখন দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন বালুরঘাটে যে কড়াকড়ি দেখা গিয়েছিল, এদিন কিন্তু সেই চেনা ছবির অনেকটাই ছিল অদৃশ্য। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কোনও বাঁশের বা লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়নি। সেখানে পাহারার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, প্রশাসনের নির্দেশ ব্যবসায়ীরা না মানলে সংগঠন তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না। প্রশাসন কোনও কড়া ব্যবস্থা নিলে তাঁরা তার পাশে আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, এদিন যথারীতি টহল দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব ঘোষ বলেন, প্রশাসনের আধিকারিকরা টহলদারি চালিয়েছেন। প্রথম দিন শুধু সতর্ক করা হয়েছে। তা না মানলে আগামীতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডেপুটি পুলিস সুপার (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, এদিন পুলিস রাস্তায় নেমেছিল।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরেরাম সাহা বলেন, আমরা সমস্ত ব্যবসায়ীকে বলে দিয়েছি যে, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তারপরেও কেউ কেউ মানছেন না। প্রশাসনেরও প্রচারের অভাব রয়েছে। জরুরি সামগ্রী বাদে অন্য দোকান খোলা রাখলে, প্রশাসনের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলে, আমরা আমরা তা পূর্ণ সমর্থন করব।
বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের রাজেন শীল বলেন, লকডাউন নিয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রতিদিনের মতো এদিন সকাল থেকে শহরের কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে চা, মিষ্টি, পান, কাপড়, জুতোর দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়। তহবাজারে সব্জিবাজারে উপরে পড়ে ভিড়। এদিনও টোটো চলেছে সব জায়গায়। জোনগুলির চায়ের দোকানেও ভিড় দেখা গিয়েছে। সেসব জায়গায় বাইরে থেকে মানুষ ঢুকেছে। আবার কন্টেইনমেন্ট জোন থেকেও মানুষ বাইরে বেরিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেকে দোকান খুলে চুটিয়ে ব্যবসা করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শহরে যেভাবে ভিড় চোখে পড়ছে, তাতে আগামীতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।