পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ, ভক্তবাবুর সঙ্গে দলের কয়েকজন কর্মীর পাশাপাশি কয়েকজন বহিরাগতও এই কাজে যুক্ত ছিলেন। বিজেপির যুব সভাপতি সহ আরও তিনজনকে এই ঘটনার জন্য শোকজ করা হয়েছে। যদিও ভক্তবাবু এখনও পর্যন্ত সেই চিঠির কোনও জবাব দেননি।
এদিকে ভক্তবাবুর দাবি, চিঠি হাতে পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত চিঠির বয়ান অনুযায়ী সাত দিনের সময়সীমা পেরিয়ে যায়নি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তিনি এই চিঠির জবাব দেবেন। বিজেপির জেলা সভাপতির সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদের কথা স্বীকার করলেও অভব্য আচরণের পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কি তিনি করেননি বলেই দাবি করেছেন। সমগ্র বিষয়টিতে দলের রাজ্য কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছে দু’পক্ষই। প্রয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার জন্য দাবি করেছেন ভক্তকুমার রায়। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা কমিটির মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন আমাদের দল অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভক্তবাবু এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য অপরিচিত কয়েকজন যে আচরণ করেছেন তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে দলের নিয়ম অনুযায়ী আমরা চটজলদি কাউকে তিরস্কার করি না। বরং শোধরানোর চেষ্টা করা হয়। আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার জন্য তাঁকে শোকজের চিঠি ধরানো হয়েছে। চিঠির উত্তর রাজ্য কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উত্তর পেয়ে রাজ্য কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে ভক্তবাবু বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয়ে সিসিটিভি রয়েছে। তার ফুটেজ দেখা হোক। আমরা আমাদের কিছু দাবি নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের কথা শুনতে চাননি। তারপর তাঁর সঙ্গে আমাদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে। কিন্তু আমি কখনই বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে জেলা সভাপতিকে ধাক্কাধাক্কি করিনি। এটা পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ।
চলতি বছরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্বজিত লাহিড়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি একসময় আরএসএসের হয়ে প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগদান করেন। অন্যদিকে, ২০১৬ সাল থেকে যুব মোর্চার দায়িত্ব রয়েছে ভক্তকুমার রায়ের কাঁধে। সম্প্রতি বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সবক’টি সংগঠনে রবদবল করেছেন বিশ্বজিতবাবু। তা থেকেই ভক্তবাবু এবং তাঁর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। জেলা সভাপতি এবং যুব সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রয়েছে দল। বিধানসভা নির্বাচনে আগে এধরনের ঘটনার দলের রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হতে পারে।