বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত বুধবার জেলা প্রশাসনের তরফে তিন শহর ও তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বুধবার রাতেই বিপুল সংখ্যক বাসিন্দার আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে জেলায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা বৈঠক করেন। অবশেষে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের ১, ৪, ৬, ৮, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড, গঙ্গারামপুরের ৮ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, বুনিয়াদপুরের ২ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডগুলিকে কন্টেইমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, সংক্রমণ এড়াতে নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই এলাকাগুলিতে পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিক টহলদারি দেবেন। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। বাকি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনে যানচলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যান চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি ব্লক ও শহরের জন্য নিদিষ্ট একজন প্রশাসনের আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই এলাকাগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে এলাকায় এসে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কোনও প্রচার করা হয়নি। বা বাঁশের ব্যারিকেডও দেওয়া হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির বাসিন্দারা কোনও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে রাস্তায় কাউকে দেখলে পুলিস তাঁকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে পারবে। প্রত্যেকটি জোনে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বাড়িতে খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। টোটো, রিকশ, মোটর বাইক, চারচাকার গাড়ি চলাচলের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় লকডাউন-
কুমারগঞ্জ ব্লক: রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামরাই, ভোঁওরের নারায়ণপুর, সিতাহর।
গঙ্গারামপুর ব্লক: মুস্তফাপুর, পঞ্চগ্রাম, পৈতাদিঘি, গোপালপুর, প্রাণসাগর, সিলিমপুর, মহারাজপুর, উত্তর নারায়ণপুর, দৌমোথা ফরিদপুর, রামচন্দ্রপুর, রঘুনাথবাটি গ্রামগুলি।
হিলি ব্লক: পুর্ব মোস্তাফাপুর, বিনশিরা গ্রাম
বালুরঘাট ব্লক: চককাশি, ঝাপুসি, বানহাট, বিকেচ, পূর্ব হরিহরাপুর, গাজিপুর, মধ্য খিদিরপুর, চকচন্দন, চন্দদৌল্লা গ্রাম।
তপন ব্লক: হাতদিঘি, কালীভাগ, মনোহলি, হরশুরা, সুহারি গ্রাম,
কুশমণ্ডি ব্লক: মাঝাপাড়া, নানাহার পাড়া গ্রাম।
হরিরামপুর ব্লক: গোখৈর, সৈয়দপুর।