বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সমীক্ষার কাজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা নাম, ফোন নম্বর নেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির কারও জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না সেই তথ্য নেওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দিনহাটা শহরের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ওই সমীক্ষার কাজে যুক্ত একাংশ শুধুমাত্র গৃহকর্তার নাম ও ফোন নম্বর নিয়েই চলে যাচ্ছেন। এতে তথ্য অসম্পূর্ণ থাকছে।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, বর্ষাকালে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। যদি সঠিকভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করা না যায় তাহলে পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ওই সমীক্ষার ফল কোনও কাজেই লাগবে না। যারা এমনটা করছেন, তাঁদের আরও সচেতন হয়ে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে সঠিক তথ্য তুলে আনতে হবে। তবেই সরকার ডেঙ্গু নিয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুচিস্মিতা দেবশর্মা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে ডেঙ্গুর সমীক্ষায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু পুরো তথ্য না নিয়ে আসার কথা নয়। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
দিনহাটা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কেউ আমাকে এখনও জানাননি। যদিও এমনটা হওয়ার কথা নয়। কোথাও যদি এভাবে কেউ তথ্য সংগ্রহ করেন, তবে অভিযোগ জানালে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোচবিহার জেলায় প্রতিবছরই বর্ষার সময়ে ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা যায়। গত কয়েক বছর থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভা, প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর একযোগে কাজ করছে। অন্যান্যবার অনেক আগে থেকেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ করা হয়। কোনও জায়গায় খোলাপাত্রে জল জমে রয়েছে কি না, কোনও এলাকায় কিছু মানুষ একসঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। সেইসঙ্গে চলে সচেতনতামূলক প্রচারের কাজ। কিন্তু মাঝপথে কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসন সবস্তরেই তা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। এক্ষেত্রেও বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা, জ্বর সর্ম্পকে খোঁজ নেওয়ার কাজ চলে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ অধিকাংশ পুরসভা এলাকায় দেরিতে শুরু হয়।