বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
খলিসামারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা প্রদ্যুৎকুমার রায় বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে ভিনরাজ্য ফেরত অনেকেই এসেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কারও করোনা সংক্রমণের খবর নেই। ওই বধূ কী করে সংক্রামিত হলেন আমরা তা বুঝতে পারছি না। বধূ তাঁর বাপেরবাড়িতে ছিলেন। বাজারের কাছেই তাঁর বাপের বাড়ি। ওঁদের প্রতিবেশী কয়েকজনের দোকান বাজারে রয়েছে। প্রশাসন বাজার সাতদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাট তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবারও সাপ্তাহিক হাট হবে না।
শীতলকুচির বিডিও ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া বলেন, খলিসামারির এক বধূ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। তাই আমরা সরকারহাট সহ সংলগ্ন এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করেছি। এ নিয়ে প্রচারও করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লকডাউন ও কন্টেইনমেন্ট জোনের নিয়ম কেউ ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শীতলকুচির খলিসামারির এক বধূ করোনা পজিটিভ হন। তারপরই ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ি দু’টি জায়গাকে প্রশাসন কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে। খলিসামারির সরকারহাট বাজারের পাশেই ওই বধূর বাপেরবাড়ি। তাই সেখানকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবারও বাজারের সব দোকান বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট সকাল থেকে শুরু হয়। অনেকেই কন্টেইনমেন্ট জোনের কথা না জানায় বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। পাইকাররা না আসায় সেই পণ্য তাঁদের বাধ্য হয়ে ফেরত নিয়ে যেতে হয়। খলিসামারির সরকারহাট বাজারে হাজার খানেক দোকান আছে।
খলিসামারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ সহ পাশ্ববর্তী বড় কৈমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশের চাষি এখানে কৃষিপণ্য বিক্রি করার জন্য আসেন। এদিন সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকায় তাঁরা সমস্যায় পড়েন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, করোনা আক্রান্ত ওই বধূ বা তাঁর পরিবারের কানও কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি ছিল না। কী করে ওই বধূ করোনা সংক্রমণ হল তা নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন।