রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়িতে অনেকদিন আগেই থাবা বসিয়েছে করোনা। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর তা বেলাগাম হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৫০০ জনের কাছাকাছি। এই অবস্থায় শহর লকডাউনের দাবি তোলে কংগ্রেস ও বিজেপি। এদিন কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আধিকারিকদের শিলিগুড়ির উপর নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে বৈঠকে বসে করোনা মোকাবিলায় গঠিত দার্জিলিং জেলা টাস্ক ফোর্স। বৈঠকে জেলাশাসক এস পুন্নমবালম, শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এব্যাপারে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। দার্জিলিংয়ের জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, শিলিগুড়ি পুরসভার ২, ৪, ৫, ২৮ ও ৪৬ এই পাঁচটি ওয়ার্ডের সমগ্র এলাকাকে ব্রড কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, শহরে করোনায় মোট সংক্রামিতের ৪৫ শতাংশই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দা। তাই কন্টেইনমেন্ট ও বাফার জোন মিলিয়ে ব্রড কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, শিলিগুড়ি শহরের ৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন। তাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিকে ব্রড কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক বলেন, শহরের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে তা শুরু হয়ে সাত দিন চলবে। করোনা সংক্রমণের চেন ভাঙতেই বৈঠকে সর্বসন্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এক সপ্তাহ ওয়ার্ডগুলিতে সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত অফিস বন্ধ থাকবে। যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এলাকাগুলির কোনও বাসিন্দা বাইরে বের হতে পারবেন না। বাইরে থেকে কেউ এলাকাগুলিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এর বাইরে শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডে ছোট ছোট কন্টেইনমেন্ট ও বাফার জোন রয়েছে। তবে শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, মাটিগাড়া ব্লকে ২৬টি এবং নকশালবাড়ি ব্লকে চারটি ছোটো কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাতেও লকডাউন লাগুর প্রস্তাব বৈঠকে পেশ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহকুমা পরিষদের সভাপধিপতি তাপস সরকার বলেন, করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ এলাকা নিয়ে কিছু প্রস্তাব বৈঠকে দেওয়া হয়েছে। তা কার্যকরী করা হতে পারে।
অন্যদিকে, এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে করোনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি চা বিক্রেতা ছিলেন। আর একজন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এর বাইরে এদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। যারমধ্যে ন’জনই শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা। জেলাশাসক বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এদিন ৩৬ জন ছাড়া পেয়েছেন।