গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন পুলিস সুপার বলেন, দু’দিন আগে পর্যন্ত আমাদের জেলায় মোট ২১৩টি কনটেইনমেন্ট জোন ছিল। তারমধ্যে ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহ এবং কালিয়াচককে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট জোনের বাইরের এলাকায় কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ওই তিন এলাকায় লকডাউন বলবৎ হওয়ায় সেই পরিস্থিতি আর রইল না। আমরা ফের জেলার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিকে নিয়ে পর্যালোচনা করছি। জোনের এলাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংখ্যা অনেক কমে যাবে। এক্ষেত্রে পাশাপাশি একাধিক জোনকে নিয়ে একটি বড় কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। জেলার দুই পুরশহরে লকডাউন বলবৎ করতে অন্যান্য থানা এবং পুলিস লাইনের রিজার্ভ বাহিনীকে ময়দানে নামানো হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে ইংলিশবাজার শহরের রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। দোকানপাট খোলেনি। মাছ এবং সব্জি বাজার খুললেও তেমন লোকজন দেখা যায়নি। রথবাড়ি সহ কয়েকটি বাজারে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বিক্রিবাটা চলার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুলিসকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায়। শহরের অন্যান্য বাজারেও পুলিসকে টহল দিতে দেখা যায়। শহরের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ফোয়ারা মোড়ে পুলিস পিকেট বসে। বিভিন্ন দিক থেকে আসা বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। সদুত্তর দিতে না পেরে বেশ কয়েকজন যুবক পুলিসের ধমক খান। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামী এক সপ্তাহ বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার অনুরোধও করা হয়। এদিকে, পুরসভার তরফ থেকে এদিন শহরের বিভিন্ন বাজারে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় জীবাণুমুক্ত করণের কাজে সুবিধা হয়।
এদিকে, পুরাতন মালদহ শহরে সরকারি নির্দেশ মেনে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। পুলিসের ধারাবাহিক প্রচারে এদিন সকাল থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে বাজার করে বাসিন্দারা বাড়িতে ঢুকে গিয়েছেন। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিস শহরের আট এলাকায় পিকেটিং করে। এছাড়াও চারটি মোবাইল ভ্যান বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালায়। এদিন সকাল আটটার পর সব্জি ও মাছ বাজারে ভিড় ছিল। মাস্ক পরা নিয়ে পুলিস কঠোর হওয়ায় গ্রেপ্তারি এড়াতে কেউ মাস্ক ছাড়া বাজারে আসেননি। শহরের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট, রাজীব গান্ধী মার্কেট, সদরঘাট পুর বাজারে লকডাউনের নিয়ম বিধি মেনে কাজ কেনাকাটা চলে।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ শহরের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটের সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, বাজার খোলা রাখা ও বন্ধ করা নিয়ে সরকারের নির্দেশ পালন করা হয়েছে। সব্জি ও মাছ বাজার খোলার সময়সীমা খুব কম, তাই একটু ভিড় হয়েছিল। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, পুরাতন মালদহে লকডাউন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। পুলিস পিকেট বসিয়ে নজরদারি চলছে।
যেসব জায়গায় লকডাউন বলবৎ রয়েছে:
ইংলিশবাজার পুরসভা এলাকা।
পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকা।
কালিয়াচক, সুজাপুর ও জালালপুর।