কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এই অবরোধের জেরে এদিন জাতীয় সড়কের দু’দিকে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এবং ওই পিক-আপ ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে ১১টা থেকে বিক্ষোভ চলার পর পুলিস আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অভিজিৎ সন্ন্যাসী (১২)। তার বাড়ি লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের গুদাম লাইনে। সে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
অবরোধকারীরা বলেন, যে চৌপথিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে, ট্রাফিক পুলিস কর্মীরা একটু সচেতন হলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। এখানে গার্ড রেল বসানো আছে। পাশে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে। কিন্তু তারা কখনও ট্রাফিক কন্ট্রোল করেন না। মোবাইলেই ব্যস্ত থাকেন। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার জন্য অভিজিৎ রাস্তা পার হচ্ছিল। ছোট ছেলেটা দ্রুতগতিতে আসা পিক-আপ ভ্যানটিকে লক্ষ্য করেনি। গাড়িটি তাকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিসের কাছে বাইক থাকলেও ঘাতক গাড়িটিকে ধরার চেষ্টা করেনি। উল্টে সেই সময়েও মোবাইলেই ব্যস্ত ছিল। যার ফলে বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, আমরা অবরোধকারীদের বুঝিয়েছি। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যদি দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিস কর্মীদের গাফিলতি আছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পিক-আপ ভ্যানটির খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। দ্রুত চিহ্নিত করে ধরা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছিল। গুদাম লাইনের এক বন্ধু তাকে বলে রাস্তার ওপারে একটি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিলের চাল ও আলু আনতে যাবে। সেও তখন বন্ধুর সঙ্গে সেই স্কুলে যেতে রাজি হয়। এরপরই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে বাসিন্দাদের অভিযোগ, বানারহাটের এই এলাকাটি ব্যস্ত থাকলেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সেভাবে হয় না। পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকলেও তারা মোবাইল নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। একারণে এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।