বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে অমলবাবু বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ চত্বর সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি একাধিক পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেছি। সৌন্দর্যায়নের কাজে রায়গঞ্জ পুরসভা আমাদের সাহায্য করবে। হবে ক্যান্টিন। সেখানে রোগীর পরিজনদের খাবার পরিবেশন করবেন যাঁরা, তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেবেন। এছাড়া সুরক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে একটি পুলিস ফাঁড়ি তৈরি করা হবে। কোথায় কী হবে তা দেখে নেওয়ার জন্য এদিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের উন্নয়নের জন্য আরও একটু বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র বহু দোকান গজিয়ে উঠেছে। সেগুলোকে সরিয়ে দিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।
হাসপাতাল চত্বরে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলির ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, এলাকা থেকে উঠিয়ে দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা বিক্রেতা বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ব্যবসা করছি। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পুনর্বাসনের কথা চিন্তা করেন, তাহলে খুব ভালো হয়।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আসা বরাদ্দ টাকা যাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়টিকে তদারক করেন রোগী কল্যাণ সিমতির চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। হাসপাতালের চত্বর জবরদখল করে থাকা কয়েকটি পরিবারকে হঠিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে রোগী কল্যাণ সমিতির তরফে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হয়েছে। তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নানা উন্নয়নমুখী কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যে যে পাঁচটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবার আগে এখানেই ভাইরোলজি বিভাগ চালু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বাসিন্দারাও এই মেডিক্যাল কলেজের উপর নির্ভর করেন। রোগী এবং রোগীর পরিবার-পরিজনদের জন্য কিছু পরিষেবা চালু করার দাবি উঠছিল। সেসব দাবির কথা মাথায় রেখেই দু’চাকার যান ও চার চাকার যানের জন্য আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই চত্বরে কিছু পুরনো বিল্ডিং রয়েছে। সেগুলি পরিকল্পনামাফিক নতুন আঙ্গিকে কাজে লাগানো হবে।