পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে নতুন করে লকডাউন শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তা কার্যকরী হবে। এব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশিকা জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার জারি করবে। তবে কত দিনের জন্য এলাকাগুলি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা থাকবে, তা নিয়েও এদিন স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, তিনটি পুরসভা ও তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকাগুলিতে নতুন করে লকডাউন শুরু হবে। বৃহস্পতিবার আমরা বিশেষ একটি নির্দেশিকা জারি করব। সেখানেই লকডাউনের বিস্তারিত বিধিনিষেধ জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের এক কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেই খবর জানাজানি হতেই দ্রুত ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ। আপাতত সাত দিন বন্ধ রাখা হবে জেলা পরিষদের অফিস। জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, আমাদের জেলা পরিষদের একজন কর্মচারী করোনায় আক্রাত হয়েছেন। তাই নিজেদের সুরক্ষার দিকে নজর দিয়ে আপাতত সাত দিন অফিস বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৭। তার মধ্যে বালুরঘাট শহরে ১৬ জন, গঙ্গারামপুরে পাঁচ জন ও বুনিয়াদপুর পুর এলাকায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের অধিকাংরশের ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তাঁরা জেলাতে থেকেই সংক্রামিত হয়েছেন। নতুন করে শহরগুলিতে যাতে সংক্রমণ আর না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে চিন্তা ভাবনা করে তিন পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি যে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানেও কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। সূত্রের খবর, এই সমস্ত কন্টেইনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন লাগু করা হবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে। দোকান, বাজার খোলা বন্ধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। যদিও অফিস, আদালত খোলা থাকবে। তবে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে জমায়েত এড়াতে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। পুলিসি টহলদারি চালানো হবে। প্রত্যেকটি জোনের দেখভালের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের এক একজন আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে। সেই আধিকারিকের অধীনে থাকা বাহিনী সেই জোনে নিয়মিত নজরদারি ও টহলদারি চালাবে। প্রসঙ্গত, আতঙ্কিত বাসিন্দারা চাইছেন, লকডাউনের প্রথম দিকে যেভাবে কড়াকড়ি করা হয়েছিল, এবারও তাই করা হোক।