বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, প্রথমে ঠিক ছিল স্কুলগুলি নিজেরাই স্যানিটাইজার কিনবে। পরে জেলা প্রশাসন জানায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে স্যানিটাইজার তৈরি করে দেওয়া হবে। আর গত শনিবার জানানো হল, বিভিন্ন ব্লক এবং পুরসভা স্যানিটাইজার দেবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনদিনের মধ্যে কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ স্যানিটাইজার কেনা হল এবং কীভাবেই তার মান যাচাই করা হল? জেলার মাল ব্লকে তো বলেই দেওয়া হয়েছে নিজেদের উদ্যোগে স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজার কিনতে হবে। শেষ মুহূর্তে স্যানিটাইজার সংগ্রহ করতে স্কুলগুলিকে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। এই স্যানিটাইজার শিশুদের হাতে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলে তার দায় জেলা প্রশাসনকে নিতে হবে।
একই প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত করও। তিনি বলেন, লকডাউনের পর এবারই প্রথম ডাল এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। ৫০ এমএল করে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিপুল পরিমাণ স্যানিটাইজার কোথা থেকে কেনা হল? টেন্ডার কি করা হয়েছে? কীভাবেইবা তার মান যাচাই করা হল?
তবে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি সবীন্দ্রনাথ রায় স্যানিটাইজারের মান নিয়ে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, আসলে বিরোধীদের কাজই হল সব ব্যাপারে বিরোধিতা করা। গুণগতমান দেখেই সুষ্ঠুভাবে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। সব স্কুলই স্যানিটাইজার সংগ্রহ করছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। অযথা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংক্রান্ত ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করা হল কেন? এ প্রশ্নে জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক মঙ্গলবার বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে স্যানিটাইজার তৈরি করে দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাই বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ২২৬২টি স্কুলে তা বণ্টন করা করা হচ্ছে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার পড়ুয়া তা পাবে। পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে মিড ডে মিলের বিভিন্ন সামগ্রী সহ স্যানিটাইজার সংগ্রহ করবেন। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কাজটি করা হবে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার বিলি করছি। স্যানিটাইজার সংক্রান্ত ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।