কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মৃতদের মধ্যে একজন হলেন শিক্ষক। শিলিগুড়ি শহরের প্রধাননগর এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্বাস্থ্যদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই শিক্ষক ২ জুলাই থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে পজিটিভ ধরা পড়ে। গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়া এদিন বাড়িতে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। রবিবার তিনি সোয়াবের নমুনা জেলা হাসপাতালের কিয়স্কে দেন। এখনও সেই রিপোর্ট আসেনি।
এদিন করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। যারমধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ছ’জন। এরবাইরে ৪, ৫, ৬, ৮, ১১, ১৪, ১৫, ১৬, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪৪, ৪৫ সহ আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ায় বাকিদের বাড়ি। এই তালিকায় রয়েছেন আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায়। দু’দিন আগে উত্তরকন্যায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত প্রশাসনিক সভায় হাজির ছিলেন মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা। রবিবার তিনি বিধাননগরে অনুষ্ঠান করে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। এদিকে এদিন এনজেপিতে তৃণমূলের একটি বিক্ষোভ সভায় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের পাশে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎবাবু।
মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, বিরোধী দলনেতা আক্রান্ত হওয়ায় দু’দিনের জন্য পরিষদ ভবন সিল করা হয়েছে। সমগ্র ভবন স্যানিটাইজ করা হবে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অন্যান্য অফিসার ও কর্মচারীদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ওই দুই নেতার সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে বিদ্যুৎ গতিতে জাল বিস্তার করছে করোনা। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে করোনার ছোবলে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন। বাকি পাঁচজন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তাছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫০’র বেশি। এই অবস্থায় দার্জিলিংয়ের এমপি বিজেপির রাজু বিস্তা ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের দাবি তুলেছেন। এদিন লকডাউনের দাবিতে সরব হন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্কর মালাকার। তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ার পরই শিলিগুড়িতে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এককথায় এখানকার অবস্থা ভয়ঙ্কর। তাই এখানে ১৫ দিনের জন্য পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার অবশ্য বলেন, এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এখন তারা যা নির্দেশ দেবে সেইমতো প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। তবে রোগ মোকাবিলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।