পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুরে পুরসভার একটি কক্ষে প্রশাসক বোর্ড, সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। ব্যবসায়ীরা সেখানে দোকান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন। মত দেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তারপরেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার প্রশাসক তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলি বলেন, এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বুধবার থেকে পরবর্তী সাত দিন শহরের সমস্ত দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মুদির দোকানও বন্ধ থাকবে। শহরের রাস্তায় তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি অফিস খোলা থাকবে। স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের চাল, আলু দেওয়ার কর্মসূচি নির্দিষ্ট দিনেই হবে। জাতীয় সড়ক খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। সরকারি অফিসের কর্মীরা অফিসে যাবেন। তবে বিনা প্রয়োজনে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বের হন, সে জন্য সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, বৈঠকে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই বলেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা দোকানপাট বন্ধ রাখতে চান। তাই সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে নতুন করে আরও তিনজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ডালখোলা শহরে। শহরের ওই করোনায় আক্রান্ত যুবকের মৃত্যুর পর যে ২০০ জনের সোয়াবের নমুনা নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য, সেগুলির মধ্য থেকেই এই রিপোর্টগুলি পজিটিভ এসেছে।
ব্যবসায়িক বন্ধ নিয়ে ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, শহরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় দোকানপাট বন্ধ না রাখলে মানুষের ভিড় কমবে না। তাহলে সংক্রমণও কমবে না। তাই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছি। সেইসঙ্গে আমরা দাবি জানিয়েছি, বেশি সংখ্যক মানুষের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হোক।
ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্তা বলেন, আমরা এদিনের বৈঠকে যাইনি। তবে সোমবারই প্রশাসনকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলাম। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসাও আমরা বন্ধ রাখব।
তৃণমূল কংগ্রেসর ডালখোলা শহর কমিটির সভাপতি তনয় দে বলেন, সংক্রমণ রোধে এই ব্যবসা বন্ধ জরুরি।
শহরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত ডালখোলা। বিহার লাগোয়া এই শহরে প্রতিদিন বহু মানুষ নানা কাজে আসেন। সাত দিন ব্যবসা বন্ধ থাকলে বাইরের লোকেদের আনাগোনা কমবে। সেইসঙ্গে শহরের মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ কমবে।