গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পাশাপাশি মোহনবাটি বাজারের আরও এক ব্যবসায়ীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরপর দুই ব্যবসায়ী আক্রান্ত হওয়ায় বাজার আপাতত রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই সমসয়সীমা আরও বাড়ানোও হতে পারে। রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সংক্রমণ এড়াতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। শহরের বিভিন্ন এলাকাতে সংক্রমণ বাড়তেই সামগ্রিক লকডাউনের দাবিতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাঁরা মঙ্গলবার এবিষয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, মোহনবাটি বাজারের দুই ব্যবসায়ী সহ রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি। এবিষয়ে মোহনবাটি বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে তাঁরা সংক্রমণ এড়াতে ব্যবসা বন্ধ রাখেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মোহনবাটি ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা বুধবার থেকে ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসনের কাছে শহরজুড়ে লকডাউন করার দাবি জানাচ্ছি। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছি।
এদিকে সোমবার মোহনবাটি বাজারের দুই ব্যবসায়ী সংক্রমিত হওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার সন্ধ্যে থেকেই সাধারণ মানুষের আনাগোনা কমে যায়। মঙ্গলবার সকালেও একই চিত্র ছিল। এরপরেই এদিন দুপুর নাগাদ রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজার বন্ধ রাখা নিয়ে মাইকিং শুরু হয়। ঘোষণা হওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাজার থেকে কিনে নেওয়ার জন্য ভিড় বাড়তে থাকে। যদিও প্রশাসন ও পুরসভার তরফে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে বিধাননগরের বাসিন্দা ওই করোনা আক্রান্তের বন্ধুরা এদিন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে লালারস পরীক্ষা করার জন্য গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের লালারস সংগ্রহ করে এদিন পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের লালারস বুধবার সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে ওই যুবকরা জানিয়েছেন। তারপরই তাঁরা ক্লাবে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে যান। যুবকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমরা ক’দিন আগেই করোনা আক্রান্ত ওই ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে এসেছিলাম। তাই সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরা নিজেরাই বাড়ির বাইরে থাকব। সোমবার রাত থেকেই আমরা পাড়ার একটি ক্লাবে থাকছি। আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় লালারস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছি। আমাদের সংস্পর্শে এসে আর কেউ যাতে সংক্রমিত না হয়ে পড়েন, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।