পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন ডুয়ার্সকন্যা স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মী কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ওই কর্মী সহ মঙ্গলবার জেলায় নতুন করে আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত হন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৯৩।
জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা অবশ্য বলেন, ডুয়ার্সকন্যায় কোনও কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়নি। প্রত্যেক মাসে তিনবার করে প্রশাসনিক ভবন স্যানিটাইজ করা হয়। যখনই অফিস ফাঁকা থাকে তখনই এই স্যানিটাইজ করা হয়। জেলাশাসক এ কথা বললেও জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ডুয়ার্সকন্যার এক কর্মী সহ জেলায় নতুন করে আরও তি জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সকন্যায় কাজ করা ওই কর্মীর বাড়ি মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রশাসনিক ভবনের তিনতলায় ৩২০ নম্বর রুমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কিয়স্কে তিনি বসেন। করোনা উপসর্গ থাকায় কয়েক দিন আগে ওই কর্মীর সোয়াব নেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও সোমবারও তিনি অফিসে এসেছিলেন। এদিকে করোনা পজিটিভ ওই কর্মী কার কার সংস্পর্শে এসেছেন প্রশাসন এখন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদিন সাধারণ মানুষের ডুয়ার্সকন্যায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
আক্রান্ত বাকি দু’জনের বাড়ি বীরপাড়ার ভানুনগরে। তাঁদেরও তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে এদিন ভানুনগর এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ফালাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নান্টু তালুকদার বলেন, এলাকায় একই পরিবারের পাঁচজন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আর ঝুঁকি না নিয়ে সংগঠনের তরফে পাঁচদিনের জন্য ফালাকাটা ও আশপাশের হাটবাজার শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, সরকারি নির্দেশিকা না থাকলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনই এই শাটডাউন ঘোষণা করেছে। তবে মিড ডে মিল বণ্টন, রেশন সরবরাহ সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।
ফালাকাটা ব্লক সদর ছাড়াও পাঁচমাইল ও শিলবাড়িহাট সহ ব্লকের অন্যান্য হাট বাজারগুলিও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে প্রতিটি হাটবাজারে এই পাঁচদিন একটি করে ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।