পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার রাতে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয় গোয়াবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চলে গুলি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় দু’জন তৃণমূল কর্মী। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস ও সিপিএম জোটের কর্মীরা গুলি চালিয়েছে। যদিও তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেই রাতেই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তার পরেও এলাকায় উত্তেজনা কমেনি। মঙ্গলবার দাসপাড়া বাজারের দোকানপাট বনধ করে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
তৃণমূল কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, দাসপাড়ার ঘটনায় একজন দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এজন্য মঙ্গলবার দাসপাড়ায় আমরা ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিলাম। সেই বনধ সফল হয়েছে। বনধকে কেন্দ্র করে কোনও উত্তেজনা হয়নি। তবে এলাকায় একের পর এক ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিস প্রশাসনকে আমরা বারবার বলেছি, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাতে।
কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, আমরা চাই পুলিস আইনত ব্যবস্থা নিক। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করুক।
দাসপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ তরফদার বলেন, তৃণমূলের ডাকা বন্ধে এদিন সকাল থেকে দোকানপাট বনধ ছিল। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, দাসপাড়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার করা হবে। অবৈধ আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলছে। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারও করা হয়েছে। আরও অভিযান চলছে। এই এলাকা বিহার লাগোয়া। বিহার থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকে।
তবে পুলিসের অভিযানে আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার হলেও গুলির লড়াই শেষ হচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, চোপড়া ও ইসলামপুরে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রচুর পরিমানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করা রয়েছে। সেজন্যই সামান্য বচসা থেকে সংঘর্ষ ও তার থেকেই গুলি চলে। কখনও জমি বিবাদ, কখনও চা বাগান দখল নিয়ে সংঘর্ষ কিংবা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা সামনে আসে। এর ফলে অনেক পরিবারই অকালে তাদের পরিজনদের হারিয়েছে। খুন-জখম, গুলি-বোমার লড়াইয়ে জেরে জনজীবন সন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
সম্প্রতি ইসলামপুরের গুঞ্জরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামীকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। পরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। গত ডিসেম্বরে, ইসলামপুরের আগডিমটিতে বাগানের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুষ্কতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। কয়েকমাস পরে ওই এলাকায় চা বাগানের জমি নিয়ে সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। চোপড়াতেও এমন ঘটনা আকছার ঘটছে।