কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের এই কর্মসূচির জন্য রাজ্য থেকে কোনও লিফলেট আসেনি। তাই এই কর্মসূচির জন্য দলের কালচিনি ব্লক নেতৃত্ব ২৫ হাজার লিফলেট ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলা ও হিন্দিতে লিফলেট ছাপা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ব্লকের চা বাগানের শ্রমিকদের একাংশ বাংলা বোঝে না। বাংলা পড়তেও পারে না। তাই বাংলার সঙ্গে শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে হিন্দিতে লিফলেট ছাপানোর কাজ চলছে।
দলের কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে নানা অসচ্ছতা ও অসঙ্গতি আছে। সাধারণ মানুষের সেটা জানা দরকার। তাই প্রধানমন্ত্রীর চিঠির অসচ্ছতা নিয়ে আমরা লিফলেট ছাপিয়ে বিলি করব। দ্বিতীয় লিফলেটে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরব।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, আমরা তৃণমূলের ওই লিফলেট বিলির কর্মসূচিকে পাত্তা দিচ্ছি না। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। গত লোকসভা ভোটেই তৃণমূল সেটা টের পেয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কালচিনিতে ১৫০০ ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। যদিও দলের বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারি পরে জোড়াফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখান। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের ১১টিই দখল করেছিল টিএমসি। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দিয়ে শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল। বিরোধীদের এই অভিযোগ যে একেবারেই অসাড় ছিল না পরে লোকসভা ভোটেই সেটা প্রমাণিত হয়। লোকসভা ভোটে কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলকে পেছনে ফেলে ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়ে যায়।
কালচিনি জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। শাসক দল লোকসভা নির্বাচনে সেখানে বিপুল ভোটে পিছিয়ে যাওয়ায় মোহনবাবুকে দলের জেলা সভাপতি পদ হারাতে হয়। জেলা সভাপতি পদ পান মৃদুল গোস্বামী।
লোকসভা ভোটে কালচিনির হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে কালচিনিতে জেতার জন্য তৃণমূল চা শ্রমিকদের টার্গেট করেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কারণে নেপালিভাষী ও আদিবাসী সম্প্রদাভুক্ত চা শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে হিন্দিতে লিফলেট ছাপার কাজ চলছে। মোট ২৫ হাজার লিফলেট ছাপানো হচ্ছে। এই কর্মসূচিকে কাজে লাগিয়ে কালচিনিতে তৃণমূল হারানো জমি কতটা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সেদিকেই জেলার রাজনৈতিক মহল এখন তাকিয়ে আছে।