কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে মালদহ সদরের মহকুমা শাসক, হবিবপুর থানার আইসি এবং তিন চিকিৎসক সহ একদিনে মালদহে মোট ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এনিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত এজেলায় মোট ৮৬০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গেল।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মায় ভুগছিলেন। তিনি ডটস্ পদ্ধতিতে চিকিৎসাও করাননি। ফলে এমনিতেই শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য উপসর্গ তাঁর ছিল। শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া ইংলিশবাজার ব্লকেব এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিরও করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, হবিবপুর থানার পুলিস আধিকারিকরা আট দিন আগে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছিলেন। এদিন তাঁদের করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানা যায়। তবে সকলেই মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন। আমরা সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, ফরেন্সিক বিভাগের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মর্গে করোনায় মৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় না। তাঁর সংক্রমণের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পুরাতন মালদহের বিডিও এবং জেলা কালেক্টরেটে কর্মরত এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কালেক্টরেট ভবনেই সদর মহকুমা শাসকের অফিস রয়েছে। তিনি গত কয়েকদিন ডিউটিও করেছেন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে এব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও কোনও কর্মী বা আধিকারিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এর আগে কালিয়াচকের আইসি করোনায় আক্রান্ত হন। হবিবপুরের আইসি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পুলিস কর্তাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ওই দুই আধিকারিকের সংস্পর্শে আসায় মালদহ জেলা পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা করোনা পরীক্ষা করান। তবে তাঁর ফল নেগেটিভ এসেছে বলে এদিন তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও চার জনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ভাইরোলজি বিভাগের প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চার জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ইসলামপুর মহকুমায়। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ডালখোলায়। তাঁদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ৩৩৮ জন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বালুরঘাট শহরের চার জন বাসিন্দা রয়েছে। তাঁদের বাড়ি মঙ্গলপুর, নারায়ণপুর, ডাকরা ও হিন্দিস্কুল পাড়া এলাকায়। আক্রান্তদের মধ্যে একজন জেলা পরিষদের কর্মী। বাকি তিন জন পুরসভার সাফাই কর্মী। গঙ্গারামপুরে তিন জন আক্রান্তের মধ্যে একজন তৃণমূলের নেতা রয়েছেন। বুনিয়াদপুরের বাসিন্দা দুই সাংবাদিকও আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৪৭।
গৌড়বঙ্গে নতুন করে আক্রান্ত
মালদহ: ৪২
উত্তর দিনাজপুর: ৪
দক্ষিণ দিনাজপুর: ১০