পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরমন্ত্রীর নির্দেশে শেষ পর্যন্ত কোঅর্ডিনেটর নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় বিষয়টিকে প্রাক্তন কাউন্সিলারদের অনেকে নিজেদের জয় বলেই মনে করছেন। তবে উল্টো শিবিরের বক্তব্য, যাঁরা এই সিদ্ধান্তে উল্লসিত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত বাস্তবটা বুঝতে পারবেন।
এদিন দুপুরে ওই বৈঠকের পরে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বলেন, পুরমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছিলাম। করোনা ও পতঙ্গবাহিত রোগ রুখতে প্রাক্তন কাউন্সিলারদের সাহায্য জরুরি বলেই মনে করি আমরা। আগেও সেই কথা বলেছি। তাই কোঅর্ডিনেটর নিয়োগের চিঠি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তা সদ্য সমাপ্ত নির্বাচিত পুরবোর্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলারদের পাঠানো হবে।
মৌসম বলেন, কোঅর্ডিনেটর নিয়োগ নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। তা মিটে গিয়েছে। সকলেই গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রী। একসঙ্গেই চলতে হবে সবাইকে। পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে। তা নিয়ে নাগরিকদের সমস্যা হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলারদের অনেকেই। প্রশাসকমণ্ডলী নাগরিকদের পুর পরিষেবা দিতে ব্যর্থ বলে দাবি করে জেলাশাসকের কাছেও দরবার করেন তাঁরা। পুরসভার সামনে প্রকাশ্যে বিক্ষোভও দেখান। তবে তৃণমূলের অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে, নাগরিক পরিষেবার বিষয়টিকে সামনে রেখে আন্দোলন হলেও মূল কারণ ছিল অন্যান্য পুরসভার মতো ইংলিশবাজারে প্রাক্তন কাউন্সিলারদের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ না করায় ক্ষোভই। শেষ পর্যন্ত দলের ভাবমূর্তির স্বার্থে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মৌসম।
এদিন তাঁরই উদ্যোগে নুর ম্যানসনে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন হয়। মৌসম ছাড়াও বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন কাউন্সিলারদের অনেকেই চলে আসেন দলীয় জেলা পার্টি অফিসে। অন্যদিকে, পুরসভা থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন। কলকাতা থেকে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। আসরে নামেন প্রাক্তন কাউন্সিলার শুভময় বসু, প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিরা। পুরমন্ত্রীর সামনে চেয়ারপার্সনকে কার্যত তুলোধোনা করেন তাঁরা। প্রশাসকমণ্ডলীর আরও এক সদস্য সুমালা আগরওয়ালাও ইঙ্গিত দেন, চেয়ারপার্সনের নিজের মতো চলার মানসিকতা আছে। তিনি যেন অন্য সদস্যদের সিদ্ধান্ত মেনে চলেন। পরে দুই তরফের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে আসরে নামেন মৌসম নিজেই।