বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মাথায় ধারালো ছুরির আঘাতে প্রেমিকার কাকা গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি দু’জনের হাতে ও পায়ে ছুরির ঘা লেগেছে।
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ওই ঘটনায় জখমদের পক্ষ থেকে এখনও পুলিসের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্ত যুবক এখনও পালিয়ে আছে। ওকে ধরার চেষ্টা চলছে।
বিএ প্রথম বর্ষের ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তিনবছর আগে ফেসবুকে আলাপ হয় পেশায় বিবাহিত ওই যুবকের। অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী ছাড়াও একটি সন্তান আছে। ওই যুবকের সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার সুবাদে দু’জনেরই দু’জনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।
নিজের স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখেই যুবকটি ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ওই ছাত্রী ও তার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন যুবক বিবাহিত। এরপরেই ছাত্রী ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা আকণ্ঠ মদ্যপ অবস্থায় ওই যুবক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে ঢুকেই মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়ে যেতে অস্বীকার করলে যুবকটি হুমকি দিতে থাকে। তার সঙ্গে না গেলে বাড়ির সবাইকে ও শেষ করে দেবে। এরপরেই বাড়ির লোকজন বাধা দিতে গেলে ওই যুবক ছুরি বের করে এলোপাথাড়ি চালাতে থাকে। তাতে চারজন রক্তাক্ত হন। পরে যুবক বাড়ির পাশে থাকা জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায়।