রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি সুজিতকুমার দে বলেন, শিক্ষকরা হ্যান্ড স্যনিটাইজার, ডাল কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। যে দামের মধ্যে ওসব কিনতে বলা হয়েছে তা সম্ভব নয়। তবুও শিক্ষকরা ওসব বাজার থেকে কিনে পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা মনে করি, সরকারকে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অনুকূল সরকার বলেন, মিড ডে মিলের সামগ্রী কেনার জন্য রাজ্য থেকে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাই দেওয়া হচ্ছে। সমস্যার বিষয় নিয়ে স্কুল শিক্ষকরা বিডিও’র সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, সমস্যার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের বিডিও’র সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত।
ব্লকের নর্থ সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আজিমকুদ্দুস বিনগণি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়ুয়াদের মধ্যে ওই সামগ্রীগুলি বিতরণ করার জন্য সমস্ত স্কুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই তা কিনছেন। বাকিরা কেন পারবেন না বুঝতে পারছি না।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে ১৬০টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এখন স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ আছে। তবে লকডাউন শুরু হওয়ার পর স্কুলগুলি থেকেই পড়ুয়াদের চাল, আলু দেওয়া হচ্ছিল। এখন থেকে প্রত্যেক পড়ুয়াকে চালের সঙ্গে মাসে দু’কেজি করে আলু, ২৫০ গ্রাম মুসুর ডাল, ৫০ মিলিলিটারের একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। চাল বাদ দিয়ে আলুর জন্য ২৩ টাকা, মুসুরির ডালের জন্য ৪৪ টাকা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইসারের জন্য ২২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের দাবি, বর্তমান বাজারে ভালো আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুসুরির ডাল ১১০ টাকা এবং ৫০ মিলিলিটার একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলের দাম ২৫ টাকার উপরে রয়েছে। এমন অবস্থায় ওই টাকায় ওসব কিনতে গিয়ে তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন।