কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জল্পেশ মন্দির পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, এটা ভক্তদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের যে এবার মেলা হবে না। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তরা লাইন দিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন। সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি ভক্তকে একসঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া আমরা কিছুক্ষণ পরপর মন্দির স্যানিটাইজ করব।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, তিস্তার ঘাট বাঁধানো, মেলার মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবার টেন্ডার করি। এতে আমাদের পাঁচলক্ষ টাকা আয় হয়। কিন্তু এ বছর যেহেতু মেলাই হচ্ছে না তাই আমরা টেন্ডার ডাকতে পারলাম না। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হলাম। আমরা চাই মানুষ সুস্থ থাকুক। মানুষের স্বার্থেই এ বছর মেলা হচ্ছে না।
প্রতিবছর গুরুপূর্ণিমার দিন শ্রাবণী মেলার সূচনা হয়। মেলা উপলক্ষে মাস দেড়েক আগে থেকেই মন্দিরের কর্মকর্তাদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। তবে এ বছর যে মেলা আয়োজন করা যাচ্ছে না তার আভাস অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নানাভাবে সচেতনতা বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই মূহূর্তে শ্রাবণী মেলা হলে সামাজিক দূরত্ব যে কোনও মতেই মানা সম্ভব নয় এ কথা ভালো ভাবেই জানেন মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। তাই এবার তাঁরা লোকসান হলেও মেলা আয়োজন থেকে সরে এসেছেন।
প্রতিবছর এই মেলায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। শুধু জলপাইগুড়ি জেলা কিংবা এ রাজ্যের বাসিন্দারাই শ্রাবণী মেলায় আসেন এমনটা নয়। অসম, বিহার, সিকিম এমনকী নেপাল, ভূটান থেকেও জল্পেশে মেলার ক’দিন প্রচুর লোকের সমাগম হয়। ভক্তরা তিস্তা নদীর ঘাট থেকে জল নিয়ে ১৫-১৬ কিমি হেঁটে মন্দিরে আসেন। রবিবার রাতভর হেঁটে সোমবার শিবের মাথায় জল ঢেলে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০০ মিটার ব্যাসার্ধজুড়ে মেলা বসে। পুলিস, সিসিক্যামেরা বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে মন্দির ও তার আশপাশ এলাকা মুড়ে ফেলা হয়। কিন্তু এবার সবটাই এখন খাঁ খাঁ করছে।