পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ইংলিশবাজার শহরে করোনার মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শনিবার তাতে কিছুটা ছেদ পড়ে। কিন্তু রবিবার ফের শহরে একধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। এদিন শহরের ১১ জন বাসিন্দা নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদিনের আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনই হাল্কা ভাবে নিতে নারাজ জেলা প্রশাসন। ফলে ইংলিশবাজার শহরে কড়াকড়ি জারি থাকবে বলে পুলিস এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব না মানলে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
যদিও শহরের বাসিন্দাদের একাংশ সরকারি বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে শহরে রোগের প্রকোপ আটকানো কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা সন্দিহান।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, মালদহে বর্তমানে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। অনেকেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে বিষয়টি হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বিপদ পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে সরকারি নির্দেশিকা। তবে এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই আমরা করোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারব।
এদিকে, প্রথম দিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লালারসের নমুনা জমে যাচ্ছিল। ওই ব্যাকলগ বা বকেয়া নমুনা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ টানা পরীক্ষা করায় বকেয়া লালারসের নমুনার সংখ্যা কার্যত শূণ্যে নেমে আসে। গত কয়েকদিনে ব্যাকলগ ছিলই না। তবে রবিবার ফের ৩১০ টি নমুনা জমে গিয়েছে। ফলে নতুন করে ব্যাকলগের পাহাড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ওই ব্যাকলগ দ্রুত কমিয়ে শূন্যে নামানো সম্ভব বলে মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা জানিয়েছেন।
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরে নতুন করে সাত জনে শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন প্রথম সারির স্বাস্থ্য কর্মী ও একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গঙ্গারামপুরে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা তিন জন। গঙ্গারামপুর শহর এলাকার বাসিন্দা তিন জন। বাকি একজন কুশমণ্ডির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও এদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিন আরও চার জনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ওই চার জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে চায়নি স্বাস্থ্য দপ্তর। আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩২২ জন।
গৌড়বঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত-
মালদহ: ৩৭
উত্তর দিনাজপুর: ৪
দক্ষিণ দিনাজপুর: ৭