পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহের সেচ দপ্তরে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, এখনও অবধি জেলার কোনও নদীর জলে বিপদসীমা পার করেনি। তবে গঙ্গা এবং মহানন্দার জল নতুন করে বেড়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।
গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, টাঙনের জল বেড়ে গারাধুল এবং মহাদেবপুর গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতে ওই এলাকায় নদীর জল বেড়ে সালাইডাঙায় একটি গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিন সকালে ওই রাস্তার আরও অনেকটা অংশ স্রোতের তোড়ে কেটে গিয়েছে। ফলে টাঙন নদীর জল সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত করেছে। এলাকার অনেকটা কৃষিজমি জলে তলায় গিয়েছে। এদিকে সকালে রতুয়ার সূর্যাপুরে ফুলহরের নির্মীয়মানের পাড়বাঁধের একাংশ ধসে গিয়েছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি। সেই অংশ দিয়ে জল গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। রতুয়ার গঙ্গারামটোলা, দ্বারকাটোলায় ফুলহরের ভাঙন চলছে। সেখানে প্রতিদিন কয়েক কাঠা করে জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান। কালিয়াচক-৩ ব্লকের বাহাদুরপুর-মুর্শিদাবাদ সীমান্তে গঙ্গায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
এদিন মহান্দায় জল বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহরের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। অসংরক্ষিত এলাকার অনেক বাসিন্দাই নতুন করে ঘরছাড়া হয়েছেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার মির্জাপুর এলাকায় নদীর জল ঢুকছে। মানিকচকের ভূতনিতে গঙ্গার পাড় ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক বিজেপি স্বাধীন সরকার বলেন, জল বাড়লে বা কমলে এলাকায় ছোটখাটো ভাঙন হয়। নদী তীরবর্তী এলাকায় এখনও ব্যাপক অর্থে ভাঙন শুরু হয়নি। বাহাদুরপুর এলাকায় নদীর পাড়ে ভাঙন হয়েছে বলে শুনেছি। যদিও সেটি আমার এলাকার মধ্যে পড়ে না।