কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই যুবক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রবিবার সুভাষপল্লির একাংশ এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে স্বাস্থ্যদপ্তর। এদিনই স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকাটি স্যানিটাইজ করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আজ, সোমবার বীরপাড়া থানার পুলিস এলাকায় মাইকিং করবে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়ার পর ওই যুবককে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করেছি। ওঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বীরপাড়া থানার ওসি পালজোর ভুটিয়া বলেন, ওই যুবকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সকলকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আমরা এলাকায় সচেতনতা প্রচার করব। স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরপাড়ার সুভাষপল্লির ওই যুবক শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ওই সংস্থাই বীরপাড়ার ওই যুবক সহ তাঁদের অফিসের প্রত্যেক কর্মীর সম্প্রতি সোয়াব টেস্ট করেছিল। তাতে বীরপাড়ার যুবকের দু’বার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
যুবকের বাবা একটি প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। বৃদ্ধ বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই যুবক শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে বীরপাড়ায় বাড়িতে আসেন। বাবার শবদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পরে মোবাইলে মেসেজে এলে যুবক জানতে পারেন তাঁর সোয়াবের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ। ওই মেসেজ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও যায়। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে থাকা যুবকের পরিবারের বাকি সদস্যের করোনা টেস্ট এরমধ্যেই করবে।
এদিকে, ফালাকাটার এক ওষুধ ব্যবসায়ী সহ তাঁর পরিবারের পাঁচজন সদস্য একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ওষুধ ব্যবসায়ীকে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের বাকি চার সদস্যকে স্বাস্থ্য দপ্তর তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা শুরু করেছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় একসঙ্গে একই পরিবারের এতজন সদস্যের করোনা আক্রান্তের ঘটনা এই প্রথম। ফলে স্বাভাবিক কারণেই ফালাকাটাতে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।