পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের ছোটবড় মিলিয়ে ১০০টিরও বেশি রাস্তা ও ৫০টি নিকাশি নালা সংস্কারের কাজের জন্য সাড়ে ছ’কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুর দপ্তর, চতুর্দশ অর্থ কমিশন ও পুরসভার নিজস্ব ফান্ড থেকে ওই কাজের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এলাকার বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী ও পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ কয়েকটি রাস্তার কাজের শিলান্যাসও করেছেন। কিন্তু কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় রাস্তা ও নালা সংস্কারের কাজ এখন বিশবাঁও জলে। তারউপর বৃষ্টির জলে পুর এলাকার অগুণতি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলি জলকাদায় চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে যাতায়াত করা বাসিন্দাদের মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু এলাকায় মাটি ধসে অনেক নিকাশি নালা বুজেও গিয়েছে।
পুরসভার প্রশাসক অবশ্য বলেন, এখন পুর এলাকায় রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরির উপরেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজে বিঘ্ন ঘটছে ঠিকই বৃষ্টি কমলেই ফের কাজ শুরু হবে।
জল নামতেই পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলতলা ও অরবিন্দনগর পিলখানার রাস্তা দু’টির একাংশ ধসে গিয়েছে। পিলখানার রাজীব ঘোষ, দিলীপ রায় বলেন, রাস্তা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে হেঁটে যাতায়াতই করা যাচ্ছে না।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর প্লট, কলেজপাড়া ও চিত্তরঞ্জন কলোনিতে পিচ ও সিমেন্ট ঢালাইয়ের রাস্তা বৃষ্টির জলে ধুয়ে গিয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএমের অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, রাস্তাগুলি দিয়ে এখন হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। শুনেছি, পুরসভা রাস্তার কাজ শুরু করবে। কিন্তু কবে সেই কাজ শুরু হবে জানি না।
একই অবস্থা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাধামাধব মন্দির থেকে গিরীন্দ্রনগর কলোনি ও সম্মিলনী সেতু থেকে মধ্যপাড়া চৌপথি হয়ে কালীবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা দু’টিও বৃষ্টির জলে ভেঙে গিয়েছে। পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মায়া টকিজ রোডে এফসিআই গোডাউন থেকে প্রমোদনগর কলোনি যাওয়ার ৩০০ মিটার পিচের রাস্তা বৃষ্টিতে পুরোপুরি ধসে গিয়েছে। ওই ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়া কলোনি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার ২০০ মিটার সিমেন্ট ঢালাইয়ের রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএমের অমূল্য মণ্ডল বলেন, পুরসভার প্রশাসক বৃষ্টির আগেই রাস্তাগুলি দেখে গিয়েছিলেন। শুনছি, রাস্তার কাজ হবে। যদি এপ্রিলে কাজ শুরু হতো তাহলে রাস্তাগুলির এই হাল হতো না।
পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দনগর ফুটবল খেলার মাঠের দু’পাশের রাস্তাও বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়ে আমন রোয়ার জমিতে পরিণত হয়েছে। পুরসভা এই রাস্তা দু’টির কাজের শিলান্যাস করেছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সব পণ্ড হয়ে গিয়েছে।