কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অনুপম সিংহ বলেন, আমরা মাস্ক পরা নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বারবার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে চলেছি। বিভিন্ন সময়ের র্যাধলি করে বা মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মাস্কের উপযোগিতা সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নিজেরা রাস্তায় বেরোলেই সাধারণ মানুষকে বারবার মাস্ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানাই।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার স্থানীয় মানুষদের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য প্রচার চালিয়েছি।
ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ শহরের মধ্যে মোট চারজন করোনা সংক্রামিত বাসিন্দার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের কোনও বাইরে ভ্রমণের ইতিহাস নেই। মনে করা হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেই তাঁরাও সংক্রামিত হয়েছেন। বিষয়টি জানার পরেও সাধারণ মানুষের এই উদাসীনতা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সচেতন মানুষ। বারবার করে বিষয়টি নিয়ে পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন প্রচার চালালেও আদতে কোনও সচেতনতাই তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। তাই দাবি উঠছে, মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব আবশ্যক করতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
সচেতনতার অভাব রায়গঞ্জ সংলগ্ন কর্ণজোড়ার অফিসপাড়ায় গেলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে। রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত চোখে পড়ার মতো। তার উপর সেই জমায়েতের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক থাকে না। কর্ণজোড়া এলাকার মাস্ক পড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ মাস্ক পরেই কাজ করার পক্ষপাতী। আবার অনেকেই মাস্ক পকেটে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রায়গঞ্জের রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করতে আসা মনোজ দাস বলেন, অফিস পাড়ায় আসার পর থেকেই সামাজিক দূরত্ব কোথাও চোখে পড়ছে না। অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি অফিসের এক কর্মী বলেন, সরকারিভাবে সমস্ত অফিস-কাছারি খুলে দেওয়ায় আমাদের কাজ করতেই হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে নিরাপত্তা বিধি না মেনে মানুষ অফিসে আসছেন, তাতে সংক্রমণের আশঙ্কায় আমরা আতঙ্কিত।
লকডাউন শেষে দেশজুড়ে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও করোনা নিয়ে অনেকেরই সচেতনতা কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জের মোহনাবাটি সহ একাধিক বাজার এলাকাতেও মাস্ক ছাড়াই দিব্যি কেনাকাটা করতে আসছেন বাসিন্দারা।