বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে শনিবার উত্তরকন্যায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন ওএসডি। বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শিলিগুড়ি পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের দলনেতা রঞ্জন সরকার, এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন সহ কয়েকজন বিধায়ক, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলা করার রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৈঠকের পর ওএসডি বলেন, উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলায় করোনার প্রকোপ কিছুটা বেশি। শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় ভাইরাসের দাপট নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে এদিন বৈঠকে নেতা, মন্ত্রী ও সমাজকর্মীরা একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন। অধিকাংশই মাস্কের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা, যেখানে সেখানে থুতু ফেললে জরিমানা করার, কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের উপর নজর রাখার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এখনই সার্বিকভাবে লকডাউন করা হচ্ছে না। এদিন সভায় সকলেই এর বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।
ওএসডি আরও বলেন, সচেতনতার অভাবের জেরেই এই শহরে করোনার সংক্রমণ কিছুটা ছড়িয়েছে। তাই শহরবাসীকে সচেতন করতে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি তিনটি ভাষায় ১০ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়া প্রভৃতি বিষয় তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। ডাক্তারদেরও কয়েকটি দল প্রচার অভিযানে নামবে।
তাছাড়া করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা ও শিলিগুড়ির দু’টি কোভিড হাসপাতালে আরও ৪৪ জন ডাক্তার এবং কিছু নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। যারমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছ’জন এবং মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে ২০ জন এবং কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে ১৮ জন ডাক্তার নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, এদিন উত্তরকন্যার বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে ডাকা হয়নি। ওএসডি বলেন, কলকাতা থেকে যাঁদেরকে মিটিংয়ে ডাকতে বলা হয়েছে, তাঁদেরকেই ডাকা হয়েছে। তাছাড়া পর্যটনমন্ত্রী অসুস্থ বলেও শুনেছি।
যদিও পর্যটনমন্ত্রী এদিন সকালে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আমার ডাক্তার আছেন। তাঁরা আমার চিকিৎসা করেন। আমি সুস্থ না অসুস্থ তাঁরাই বলতে পারবেন। তবে উনি হয়তো আমাকে ভালোবাসেন। তাই ওই কথা বলেছেন। এ জন্য ওঁকে ধন্যবাদ। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। করোনা সংক্রমের চেন ভাঙতে মোকাবিলায় ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি শহরে রেগুলেটেড মার্কেটের ফল ও মাছ বাজার কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার ১৪ জুলাই পর্যন্ত গুরুংবস্তি বাজার, হায়দারাপাড়া, সালুগাড়া, একটিয়াশাল, বাংলাবাজার, ঘোগোমালি বাজার, ১২ জুলাই পর্যন্ত শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন বাজার এবং ১৮ জুলাই পর্যন্ত টিকিয়াপাড়া বাজার বন্ধ রাখা হবে। এখন জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫১টি।