বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, বৃষ্টির জমাজল বের করে দেওয়া, নিকাশি নালা পরিষ্কার করা, মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক প্রেমকুমার বরদেওয়া বলেন, বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই গ্রামীণ এলাকায় ময়দানে নেমে পড়েছে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি)। মশার বংশ নিধন করতে নিকাশি নালা, নর্দমা, জলাজমি সাফাই করা হচ্ছে। এতে সাপেরও উপদ্রব নিয়ে কোনও অভিযোগ মেলেনি। তা হলেও বসতি এলাকার জঙ্গল সাফাই করা হচ্ছে।
সরকারিভাবে জুন মাসে বর্ষার মরশুম শুরু হলেও বিগত কয়েকটি বছর এই মাসে তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি শিলিগুড়িতে। এবার কিন্তু এখানকার আবহাওয়ায় বেশকিছুটা পরিবর্তন এসেছে। জুন মাসে কখনও সকালে, কখনও দুপুরে, আবার কখনও রাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত বছর জুন মাসে এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৩৮.৪০ মিলিমিটার। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৫.৬০ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত বছরের জুন মাসের তুলনায় এবার প্রায় ২০৭ মিলিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।
এর জেরে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকার খাল, জলাজমি, জঙ্গলে ঘেরা পতিত জমি, আন্ডারপাস প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টির জল জমেছে। ফুটপাতের পাশে থাকা গুমটি দোকানের বাঁশের কুঠুরি, গ্যারেজে থাকা গাড়ির টায়ারে, যত্রতত্র ফেলে রাখা ফলের খোঁসা, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে জল জমে থাকছে। শহরের পাশাপাশি, মাটিগাড়ার পরিবহণনগর, হিমাঞ্চলবিহার, খাপরেইল, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে পার্থেনিয়াম সহ আগাছা জন্মেছে।
বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টির জেরে এলাকায় জঙ্গল আরও বেড়েছে। এরজেরে এলাকায় মশা ও বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই ঘরের ঢুকছে সাপ। চৌকির তলায় কিংবা ঘরের আসবাবপত্রের ফাঁকে সাপ আশ্রয় নিচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, সবকিছু জেনেশুনেও নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন। নিয়মিত জঙ্গল সাফ করছে না। মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল সাফ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।