বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিভাগীয় মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এ মাসের মধ্যেই দপ্তরের কোচবিহারের নবনির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে সেটার আমরা দ্রুত শেষ করে ফেলব। জেলাশাসকের দপ্তরে জায়গার অভাবে আমাদের দপ্তরের কাজে সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্য নতুন ভবনটি করা হয়েছে। এতে কাজের অনেক সুবিধা হবে। বাইরে থেকে দপ্তরের কাজে আসা অফিসারদের থাকার জন্য আমরা ঘর রাখার বিষয়টি ভাবছি।
শিলিগুড়ি থেকে কাজকর্মের হলেও কোচবিহার জেলাশাসকের অফিসের দু’টি ঘরে জেলার কাজকর্ম করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। জায়গা কম হওয়ায় কাজেরও সমস্যা হয়। তাছাড়া উত্তরকন্যা থেকে অফিসের আধিকারিকরা ১৫০ কিমি দূর থেকে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় কোনও কাজে এলে সেই কাজ শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারদের ফিরে যেতেও সমস্যা পড়তে হয়। যাতায়াতের জন্য অনেকটা সময় নষ্ট হয়। কোচবিহারের এই দপ্তর থেকে কাজ চালু হলে পার্শ্ববর্তী জেলা আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের দেখাশুনা ও পরিচালনা করতে সুবিধা হবে। অফিসের ওই ভবনে বাইরে থেকে কোনও আধিকারিক বা ইঞ্জিনিয়ার এলে যাতে তাঁরা সেখানে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বছর তিনেক আগে কোচবিহার শহরের সাগরদিঘি পাড়ের আমতলা মোড়ে চারতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সেটি জোর কদমে তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু মাঝে করোনা সংক্রমণের জন্য লকডাউনের জেরে তিনমাস ধরে সেই কাজ বন্ধ হয়ে ছিল। লকডাউন শিথিল হতেই ফের জোর কদমে ওই কাজ শুরু হয়েছে। লকডাউনের আগেই গোটা ভবনটি রং করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আসবাবপত্র নিয়ে আসা, ডেকোরেশন সহ অন্যান্য বাকি কিছু কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করে সেখানে দপ্তরের কাজকর্ম শুরু হবে বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।