কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিনহাটা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে অনুমোদিত চিকিৎসকের থেকে অনেক কম রয়েছে। সম্প্রতি পাঁচ চিকিৎসক উচ্চশিক্ষার চলে গিয়েছেন। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। এরমধ্যেই আমরা সাধ্যমতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সব বিষয়ই বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
দিনহাটার বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, গোটা রাজ্যেই চিকিৎসকের সমস্যা আছে। জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় সেখানে অনেক চিকিৎসক লাগছে। তবু আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সমস্যা মেটানোর।
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলেও চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, সাফাই কর্মীর সংখ্যা খুব কম থাকায় পরিষেবার মান কমছে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। হাসপাতালে রোগীদের জন্য ৩২৬টি বেড রয়েছে। অধিকাংশেই ভর্তি থাকে। প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। ৫৮টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ২৬ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এই মহকুমা হাসপাতাল। সম্প্রতি অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি চক্ষু বিভাগের দু’জন, সার্জারি, পেডিয়াট্রিক বিভাগের একজন করে চিকিৎসক ও একজন অ্যানাস্থেটিস্ট উচ্চশিক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে চলে গিয়েছেন।
মহকুমাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে দেড়বছর আগে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করা হলেও বর্তমানে সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই। অথচ সেখানে পাঁচজন চিকিৎসক থাকার কথা। ২২ জন ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেখানেও কেউ নেই। সব পদই ফাঁকা পড়ে আছে। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সাফাই কর্মীর সংখ্যাও খুব কম। ৫০ জন সাফাই কর্মীর জায়গায় মাত্র ১১ জন ওই পদে আছেন। ফলে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নার্সের সংখ্যাও এখানে অনেক কম। ১২৫টি নার্সের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৮৫।