পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বন দপ্তর সূত্রে খবর, জার্মান শেপার্ড প্রজাতির দুই গোয়েন্দা কুকুরকে বন্যপ্রাণী চোরাশিকার ও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রোধের নানা কৌশল ও কসরত শেখানো হয়েছে। তারপরেই ১৭০০ কিমি রাস্তা পাড়ি দিয়ে ডুয়ার্সের দুই জঙ্গলে এদের আনা হল।
বন দপ্তর জানিয়েছে, কয়েক দিন এরা পূর্ণ বিশ্রামে থাকবে। তারপরেই বন দপ্তরের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করবে। এ জন্য ডগ মাস্টারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে চার বনকর্মীকে। ভোপালেই ওই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার দুই বনাঞ্চলে গোয়েন্দা কুকুরের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।
প্রসঙ্গত, তিনবছর আগে বক্সায় আনা হয়েছিল দুই গোয়েন্দা কুকুর ‘করিম’ ও ‘লিজা’কে। জলদাপাড়ায় এসেছিল অপর গোয়েন্দা কুকুর ‘রানি’। করিম ছিল বেলজিয়াম মেলোনিয়াস প্রজাতির। চোরাশিকারি ও বন্যজন্তুর দেহাংশ পাকড়াও করার কাজে করিমের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিসেরও প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে করিম। ২০১৯ সালে করিম সারা দেশে সেরা গোয়েন্দা কুকুরের মুকুটও ছিনিয়ে নিয়েছিল। একইভাবে জার্মান শেফার্ড লিজা ও রানিও অনেক দিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে চোরাশিকারি ও বন্যজন্তুর দেহাংশ ধরার কাজ দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
এবার নতুন করে সুইটি ও ট্রফি আসায় আলিপুরদুয়ার জেলার দুই বনাঞ্চলের ডগ স্কোয়াড আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল। বন দপ্তরের সঙ্গে এমনটাই মনে করছে পুলিস ও বিভিন্ন প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনগুলি। বিশেষ করে ৭৬২ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে বক্সার জঙ্গলের ব্যাপ্তি। এটি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। সুইটি আসায় বন দপ্তরের চোরাশিকারি ধরতে নজরদারির কাজ আরও শক্তিশালী হল।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ট্রফি চলে আসায় আমাদের ডগ স্কোয়াড আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, সুইটি আসাতে বক্সার জঙ্গলের ডগ স্কোয়াড শক্তিশালী হল। বক্সার নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো হল।
প্রসঙ্গত, বেলজিয়াম মেলোনিয়াস প্রজাতির আরও দু’টি গোয়েন্দা কুকুর গত মাসে রাজ্যে এসেছিল। ওই দু’টি গোয়েন্দা কুকুরের মধ্যে একটিকে গোরুমারা অভয়ারণ্যে ও অন্যটি সুন্দরবনে রাখা হয়েছে।