পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ধূপগুড়ি বাজারে কর্মতীর্থ ভবনের কাজ শুরু হয়। সেই সময় যে ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু করেছিল তারা হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর ফের এক ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু করার পরে তারাও কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরবর্তীতে অন্য এক ঠিকাদার সংস্থা এই কাজ করে চলেছে। নয় কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারের কাজ অসমাপ্ত থাকায় শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যাপক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেকারণে দ্রুত এই ভবনের কাজ শেষ করার দাবি তুলেছে ব্যবসায়ী মহল।
ধূপগুড়ির ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ফসিড) সম্পাদক হিমাদ্রী সাহা বলেন, জেলা পরিষদের উদাসীনতায় এই বাজার তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। কর্মতীর্থ ভবনের কাজ দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে। নির্মীয়মাণ কর্মতীর্থ ভবনের জায়গায় যাঁরা ব্যবসা করতেন তাঁদের মধ্যে বেশকিছু মুদি ব্যবসায়ী বর্তমানে অন্যের কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। বইয়ের দোকানের মালিক জমিতে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। ২০১৭ সালে যখন বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয় তখন ১৮ মাসে এই কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। এই ভবনে ব্যবসায়ীদের জন্য কতগুলি ঘর হবে তাও আমাদের জানানো হয়নি। কিছুদিন আগে জেলা পরিষদকে এই বিল্ডিং দ্রুত তৈরি করার জন্য আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। ব্যবসায়ীদের দাবি পুরণ না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।
ধূপগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বলেন, যেসমস্ত ব্যবসায়ীর দোকান চলে গিয়েছে তাঁদের জন্য কোনও ভাবনা ভাবছে না জেলা পরিষদ। তা না হলে এতদিনে বাজার তৈরি হয়ে যেত। আমরা এই বাজারের বিষয়ে জেলা পরিষদের কাছে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথায় তারা কর্ণপাত করেনি। এই বাজার দ্রুত তৈরির দাবিতে আমরা ও ফসিড বারবার জেলা পরিষদের শরণাপন্ন হয়েছি। লকডাউনের আগে কিছু কাজ হলেও বর্তমানে ফের তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, ওই কর্মতীর্থ ভবনের কাজে ঠিকাদার নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে কাজ দ্রুত শুরু হবে। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা আমাদের মাথায় আছে। ওই বিল্ডিং হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের জায়গা নিশ্চয়ই পাবেন। এনিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।