বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা মহকুমার তিনটি ব্লকের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর শ্রমিকরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। ইটভাটার শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। হটস্পট থেকে আসা শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সরকারি আবাসন সহ বিভিন্ন স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা করা হয়। মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, মহকুমা জুড়ে ২৫টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল। তারমধ্যে মাথাভাঙা-১ ব্লকে আটটি, মাথাভাঙা-২ ব্লকে ছয়টি ও শীতলকুচি ব্লকে ১১টি সেন্টার করা হয়েছিল।
বর্তমানে মাথাভাঙা-১ এবং ২ ব্লকে দুটি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু রয়েছে। শীতলকুচিতে চালু রয়েছে তিনটি সেন্টার। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা মহকুমায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে সেন্টারে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে খুব কম সংখ্যক শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে এলাকায় ফিরছেন। মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে সমস্ত শ্রমিকরা হটস্পট থেকে আসছেন তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্কুলগুলি ফাঁকা করে সরকারি আবাসনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সীমাবন্ধ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার আগামী আগস্ট মাসে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করায় ইতিমধ্যে স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করছে মহকুমা প্রশাসন। তবে মহকুমার সাধারণ মানুষের দাবি, এখনও বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এব্যাপারে মাথাভাঙার মহকুমা শাসক জিতিন যাদব বলেন, আমাদের মহকুমায় ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফেরার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। বেশিরভাগ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা মুম্বই, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো হটস্পট থেকে আসছেন তাঁদেরকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। যে স্কুলগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল সেগুলি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। মাথাভাঙা-১ বিডিও সম্বল ঝা বলেন, ব্লকে দু’টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু রয়েছে। তারমধ্যে বৈরাগিরহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাথাভাঙা কলেজের বয়েজ হস্টেলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু রয়েছে। দু’টিতে ৪০ জনের মতো আবাসিক রয়েছেন।