বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে জলস্তর কিছুটা বেড়েছে। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ২০.৪০ মিলিলিটার। বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনা-১, পদমতি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য শিবরাম বসুনিয়া বলেন, ওই গ্রামগুলিতে কয়েক হাজার লোক বসবাস করেন। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি, চাল, চিঁড়া মজুত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সেভাবে বৃষ্টি না হলেও কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার মানসই এবং তুফানগঞ্জে রায়ডাক নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সেচদপ্তর সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট দু’টি নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সঙ্কেত। মানসাই নদীতে জলস্তরের উচ্চতা ৪৭.৮ মিটার ও রায়ডাক-১ নদীতে জলস্তরের উচ্চতা ৩৫.৪৫ মিটার। তোর্ষা নদীতে জল বাড়লেও তা বিপদসীমার উপরে ওঠেনি। এরফলে মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ ও শিলিগুড়ির নদীর পাড় সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির বাসিন্দারা বলেন, নদীতে জল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাতের ঘুম উবে গিয়েছে। নদীর গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখতে হচ্ছে।
ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলায় কালজানি নদীর জলস্তরও বাড়ছে। তবে জেলার অন্যান্য নদীর জলস্তর কিছুটা কমায় অসংরক্ষিত এলাকা থেকেও জল নেমেছে। তা হলেও বাসিন্দারা আতঙ্কিত রয়েছেন। এবার এলাকাগুলিতে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা। দার্জিলিং পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীর জলও বেড়েছে। এই নদীর জল বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইছে। সেচদপ্তর সূত্রের খবর, এখানে মহানন্দায় বিপদসীমার উচ্চতা ১১৬ মিটার। এদিন দুপুরে এখানে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১১৪ মিটার। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, দু’দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় নদীগুলির জলস্তর কিছুটা বেড়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, নদীর পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বন্যার মোকাবিলা করতে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃষ্টির জেরে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন। পরে তিনি বলেন, কয়েকটি এলাকায় কল দিয়ে ঘোলা জল পড়ছে। জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। পিএইচই ও পিডব্লুডি দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।