বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শুক্রবার ইংলিশবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, টোটোয় এক ব্যবসায়ীর মালপত্র চাপিয়ে চালক রওনা দিয়েছিলেন। তারপর ঘটনাটি ঘটে। সেই কারণে আমরা ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঠিক কী কী সামগ্রী সেদিন টোটোতে ছিল তা জানতে তাঁকে জেরা করা হয়। প্রয়োজনে ফের তাঁকে ডাকা হবে। তবে টোটোয় কোনও বোমা বা বিস্ফোরক ছিল না। ব্যাটারি ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটে। দু’এক দিনের মধ্যে কলকাতা থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাবেন। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে ইংলিশবাজারের ঘোড়াপীর এলাকায় একটি টোটোয় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় টোটো চালকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। টোটোটি দুমরে-মুচড়ে যায়। ঘটনায় শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এখনও ওই বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে শহরে জোর চর্চা চলছে। ঘটনার পর মালদহ জেলা পুলিসের তরফে টোটোর ব্যাটারি ফেটে যাওয়াকেই বিস্ফোরণের কারণ হিসাবে জানানো হয়। কিন্তু টোটোর ব্যাটারি ফেটে ওই ঘটনা ঘটা সম্ভব নয় বলে অনেকেই মনে করছেন। তাঁদের মতে, টোটোয় কোনও বিস্ফোরক বা অতি দাহ্য বস্তু ছিল। ব্যাটারি ফাটলেও তারপর তাতে আগুন লেগে বড়সড় বিস্ফোরণ হয়। অন্তত বিস্ফোরকের তীব্রতা দেখে এমনটাই তাঁরা মনে করছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারাও টোটোয় বিস্ফোরক পাচার করা হচ্ছিল বলে দাবি তুলেছেন। একই দাবি উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মুরও। যদিও মালদহ জেলা পুলিসের কর্তারা বিস্ফোরকের তত্ত্ব মানতে চাইছেন না।