বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সকালে ইংলিশবাজারে গোলাপট্টি এলাকায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যান বিধায়ক ও বিজেপির রাজ্য তফশিলি জাতি মোর্চার রাজ্য সভাপতি দুলাল বর, হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জয়েল মুর্মু, বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্য উজ্জ্বল চৌধুরী প্রমুখ। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তবে জল্পনায় জল ঢেলে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, বিধানসভার প্রাক্তন সতীর্থ হিসাবে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই এসেছিলেন দুলাল বর। এর মধ্যে রাজনৈতিক তাৎপর্য খোঁজা অনুচিত।
তাঁর বাড়িতে না গেলেও ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দুলাল সরকারের কাছেও ফোন যায় বিজেপি নেতৃত্বের। দুলালবাবু স্বীকার করেছেন, বিজেপি নেতা দুলাল বর আমাকে ফোন করেছিলেন। আরও এক জেলা বিজেপি নেতাও আমাকে ফোন করেছিলেন। তবে আমি তাঁদের ফোন ধরিনি।
কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, দুলাল বর ও আমি একসঙ্গে বিধায়ক ছিলাম। আমাদের দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যক্তিগত স্তরে অন্তরঙ্গতা রয়েছে। আমার দাদা অসুস্থ রয়েছেন। দুলালবাবু তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। আমার সঙ্গেও খানিকক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। তবে পুরোটাই ব্যক্তিগত সৌজন্যপ্রসূত। এর মধ্যে রাজনৈতিক তাৎপর্য খোঁজা ঠিক নয়। তবে কিছুদিন আগে তো তৃণমূলের এক নেতা বিজেপির অনুষ্ঠান মঞ্চেও গিয়েছিলেন।
এব্যাপারে দুলাল বর বা বিজেপি বিধায়ক জয়েল মুর্মুর মন্তব্য পাওয়া না গেলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। তিনি বলেন, দুলাল বর আমার সঙ্গে কথা বলেই কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে পুরানো বন্ধুত্বের সূত্রে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে জয়েল মুর্মুও সেখানে হাজির ছিলেন। আমি বা উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু ওই সময় উপস্থিত ছিলাম না। একইসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি বলেন, কৃষ্ণেন্দুবাবু বা অন্য কোনও তৃণমূল নেতা আমাদের দলে আসতে চাইলে তা গোপনে হবে না। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে তাঁদের জেলা বিজেপির কাছে আবেদন করতে হবে। অতীতের ভাবমূর্তি, জনসমর্থন ইত্যাদি বিবেচনা করে আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করব। বিজেপি নিজের নিয়মেই চলবে।
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক ও পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান নীহার ঘোষের বক্তব্য, আমি এর আগে পুরসভার আধিকারিকদের নিয়েই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়েছিলাম। সবটাই প্রকাশ্যে হয়েছিল। কোনও বিজেপি নেতা আমার বাড়িতে এসে ব্যক্তিগত সৌজন্য দেখাননি। আর তা হবেও না।