পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ৬ জুলাই থেকে জেলার সমস্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। বাড়ির মালিকের কাছে একটি কার্ড থাকবে এবং ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের কাছে ডায়েরি থাকবে। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর সমীক্ষা করবেন, তাঁরাই আবার তার পাশাপাশি কারও দেহে কোভিডের উপসর্গ রয়েছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।
ডালখোলা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের নোডাল অফিসার শুভদীপ নন্দী বলেন, কোভিডের সমীক্ষা করার সময় দেখা গিয়েছে, অনেক বাড়িতেই বাসিন্দারা বাইরে থেকে আসা স্বাস্থ্য কর্মীদের ভালো চোখে দেখছেন না। করোনার আতঙ্কের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। ফলে আমাদের সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ডালখোলায় আসবে। কি ভাবে ডেঙ্গু নিয়ে সমীক্ষা করা হবে, তার প্রশিক্ষণ দেবে সেই দল।
ইসলামপুর পুরসভার ডেঙ্গুর দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী সম্রাট বিশ্বাস বলেন, শনিবার স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ হবে। এবার যেহেতু সমীক্ষা কর্মী ও বাড়ির মালিক, দু’জনকে ডায়েরি ও কার্ডে স্বাক্ষর কতে হবে, তাই কোনও এলাকা সমীক্ষা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা নেই।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেই কাজ শুরু হতে দেবি হয়েছে। দু’ভাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ হবে। বাড়ি বাড়ি যাবে সার্ভে টিম ও ভেক্টর কন্ট্রোল টিম। ভেক্টর কন্ট্রোল টিম কয়েক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন নালা, নর্দমা, খাল সহ বিভিন্ন জলা জায়গায় মশার লার্ভা ধংস করার জন্য স্প্রে করার কাজ করছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার জন্য দু’জনের একটি দল হবে। প্রতিদিন অন্তত ৫০টি বাড়িতে সমীক্ষা করা হবে। পাঁচ দিনে ৩০০ বাড়ি সমীক্ষা করতে হবে। প্রতি বাড়িতে এক মাসে দু’বার সমীক্ষা হবে। নভেম্বর পর্যন্ত এভাবে সমীক্ষা চলবে। বাড়ির কারও সর্দি, জ্বর আছে কি না, বাড়িতে কোথাও জল জমে আছে কি না, এমন নানা তথ্য সংগ্রহ করা হবে।