গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার শহরের পাশ দিয়ে গিয়েছে কালজানি নদী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিতে কালজানির জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নদীর জল যাতে শহরে না ঢোকে তার জন্য কালজানি নদী বাঁধের আটটি স্লুইস গেট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দু’ঘণ্টার জন্য প্রশাসন বন্ধ রাখে। এর জেরে আরও বিপত্তি ঘটে। জলবন্দি বাসিন্দাদের অভিযোগ, আসলে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৬৪ বছরের ইতিহাসে শহরে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থার কোনও মাস্টার প্ল্যানই আজও গড়ে উঠেনি। শহরের ছোটবড় নিকাশি নালা দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও বাড়িঘর। এ জন্য পুরসভা দায়ী।
সামনে পুরসভার ভোট থাকায় আনলক পর্ব শুরুর সময় পুরসভা নিকাশি নালাগুলির পলি পরিষ্কার করলেও বৃষ্টির জলে ফের তা নালায় ভেসে গিয়েছে। পলি পরিষ্কার করে পুরসভা শুধু টাকার অপচয়ই করেছে। পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের নোডাল অফিসার বিমলেন্দু তালুকদার অবশ্য বলেন, পুর এলাকার বাসিন্দাদের জলবন্দি হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ১০টি পাম্প লাগিয়ে শহরের জমা জল কালজানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরসভার আনন্দনগর, সারদাপল্লি, পূর্ব শান্তিনগর, বেলতলা, অরবিন্দনগর, পিলখানা, নেতাজিপল্লি, বিধানপল্লি, সঞ্জয় কলোনি, হঠাৎ কলোনি, প্রমোদনগর, মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস জলের তলায় চলে যায়। কোথাও হাঁটু তো কোথাও কোমর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকে। জল বের হওয়ার পথ না থাকায় জলবন্দি দশায় পড়তে হয় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর পাড়া উদয়ন বিতান এলাকার বাসিন্দাদেরও।
পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলতলার বাসিন্দা মলয় সরকার বলেন, নিকাশি নিয়ে পুরসভার উদাসীনতার জন্য বৃষ্টি হলেই আমাদের জলবন্দি অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লির গৃহবধূ সুস্মিতা দাম বলেন, পুরসভার অকর্মন্যতার জন্য প্রতিবার আমাদের জীবনে জলবন্দি অবস্থা আসে। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির কোন লক্ষণ দেখি না।
জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় মূল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীপচর এলাকাটি। দ্বীপচরের বাসিন্দাদের শহরে দৈনন্দিন কাজে এখন আসতে হচ্ছে লাগোয়া কোচবিহারের খোল্টা দিয়ে সাতকিমি ঘুরপথে।