পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, যাঁরা মাস্ক পরে শহরে আসেননি তাঁদের আমরা জরিমানা করেছি। অনেকেই স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা দিয়েছেন। যাঁরা মাস্ক পরেননি তাঁরা সকলেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন পরবর্তীতে বাড়ির বাইরে বেরলে মাস্ক পরবেন। ধারাবাহিভাবে এমন অভিযান আমাদের চলবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার অনেক আগেই বলেছে, বাড়ি থেকে বেরলেই মাস্ক পরতে হবে। রাজ্যের নির্দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে শহরে এ ব্যাপারে মাইকিং করে প্রচারও করা হয়। বলা হয়েছিল, মাস্ক না পরলে ২০০ টাকা জরিমানা করা হবে। গত সপ্তাহে অভিযানে নামার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে আধিকারিকরা তা শুরু করতে পারেননি। এদিন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান, এগজিকিউটিভ অফিসার সহ পুরসভার অফিসাররা পোস্ট অফিসের সামনে থেকে অভিযান শুরু করেন। আধিকারিকরা সাইকেল, মোটর বাইক থামিয়ে মাস্ক না পরাদের সতর্ক করেন। যাঁরা হেঁটে যান তাঁদেরও মাস্ক পরতে বলা হয়। যদিও এদিন অভিযান শুরু হতেই অনেকে তা দেখে পালিয়ে যান। কয়েকজনকে পুরকর্মীরা জরিমানা করতেই তাঁরা ভুল স্বীকার করে পকেট থেকে ২০০ টাকা বের করে দেন। অনেকের পকেটে টাকা না থাকায় জরিমানা দিতে পারেনি। তবে তাঁরাও নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জা প্রকাশ করেন। পুর আধিকারিকরা তাঁদের সর্তক করেন।
লকডাউন শিথিল হতেই শহরে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে না। এসব মানলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই প্রতিহত করা সম্ভব। একইসঙ্গে শহর ও সংলগ্ন এলাকার বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুরসভার দাবি, সচেতন করার পরও নিয়ম না মানায় বাধ্য হয়ে জরিমানা আদায়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।