বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, আমরা এই মুহূর্তে একটি জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছি। এই অবস্থায় আন্দোলনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অমানবিক। ওই কর্মীদের স্থায়ীকরণ বা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করার উপযুক্ত সময়ও নয় এটি। করোনা নিয়ে মালদহ মেডিক্যালের কর্মীরা যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কাজে, তখন এই ধরণের আন্দোলন সুবিবেচকের কাজ নয় বলেও বক্তব্য সুপারের। তবে তিনি বলেন, যেকোনও আন্দোলন হলেই পরিষেবা খানিকটা ব্যাহত হয় বটে। এদিনও তা হয়েছে। তবে এখনই উল্লেখযোগ্য কোনও প্রভাব পড়েনি এই আন্দোলনের। অনেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কর্মী নিজেরাই পরিষেবার যেটুকু ঘাটতি হয়েছে, তা মেটাতে এগিয়ে এসেছেন। আমরা চাইব, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।তবে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁদের পিছিয়ে আসার আর জায়গা নেই। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক সুবোধ সাহা বলেন, আমরা বেশি কিছু চাইছি না। প্রাপ্য অধিকারটুকু দাবি করছি। আমাদের ন্যায্য দাবি মানবিকভাবে বিবেচনা করা উচিত মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। তা না হলে আমরণ অনশন ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে আমরা অপারগ। তবে আন্দোলনরত কর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনশন ও কর্মবিরতি চললেও বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা প্রদান তাঁরা করে চলেছেন। অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক বলেন, আমরা মানবিক বলেই জরুরি ক্ষেত্রে আমরা আন্দোলন চলাকালীনও রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।আন্দোলনকারী কর্মীরা জানান, ১২৪ জন অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে কেউ আট বছর, কেউ ১০ বছর, কেউ বা তারও বেশি সময় ধরে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কাজ করে চলেছেন। এছাড়াও আরও ২০জন যুবক স্বেচ্ছায় রোগীদের স্বার্থে জরুরী বিভাগে কাজ করছেন। তাঁরা কাজের ও নিয়োগের অনুমোদন চাইছেন সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। - নিজস্ব চিত্র