বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি যেহেতু সরকারি খাতায় বাঁধ নয়, তাই তার সংস্কার নিয়ে সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসন একে অপরের উপর দায় চাপাতে শুরু করেছে। দুই দপ্তরের মধ্যে সঠিক সমন্বয় না থাকাতেই কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। সেকারণে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দ্রুত তা সংস্কারের কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে পথে নামার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের তরফে।
জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, যে অংশ ভেঙেছে তা আমাদের আওতার মধ্যে পড়ে না। তার দেখভাল পঞ্চায়েতের দায়িত্ব। তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে আমাদের সংস্কারের ব্যাপারে চিঠি পাঠান হলে আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়ে মেরামতের কাজ করতে পারি। এদিকে তপন ব্লকের বিডিও মাসুদ করিম শেখ বলেন, যে সমস্ত স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙেছে সেইগুলি আগেই মেরামত করা হয়ে গিয়েছে। পুনর্ভবা নদীর ধারে ওই এলাকাটির সংস্কার নিয়ে আগেই আমরা সেচ দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। পঞ্চায়েতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। তপন বিধানসভার বিধায়ক বাঁচ্চু হাঁসদা বলেন, এলাকায় জল ঢোকার পরেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক কেন যাননি, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে কি কি পদক্ষেপ করতে হবে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। রামপাড়া-চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আনসার আলি বলেন, আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর দিয়েছি। এখনও মেরামত শুরু হয়নি। রাতে জল বাড়লে এলাকার কয়েকশো বাসিন্দার বাড়িতে জল ঢুকে পড়তে পারে।
ওই পঞ্চায়েতের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা নরেশ ভৌমিক, সুব্রত চক্রবর্তীরা বলেন, নদীর পাড়ে থাকা ওই উঁচু অংশ ভেঙে সকাল থেকে জল ঢুকছে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ আসেনি। প্রায় প্রতিবছরই আমাদের এখানে বাঁধ ভেঙে যায়। কৃষিকাজে প্রচুর ক্ষতি হয়। বেশ কয়েকবার গ্রামও প্লাবিত হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, পুনর্ভবা নদীর তীর ধরে রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নওগাঁ থেকে রামচন্দ্রপুরের সুকদেবপুর যাওয়ার উঁচু রাস্তা রয়েছে। গ্রামবাসীরা তাকেই স্থানীয়ভাবে ‘বাঁধ’ বলে চিহ্নিত করেন। প্রতি বর্ষায় নদীর জল বাড়লে তার কোনও না কোনও অংশ ভেঙে একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়। বিশেষ করে নওগাঁ, লক্ষ্মীপুর, সুকদেবপুর, পদপাড়া, খাটিয়াপাড়া, পেচিপাড়া, মুখাপাড়া। সোমবার ভোরে গ্রামবাসীদের নজরে আসে সুকদেবপুর এলাকাতে রাস্তার বিশাল অংশ ভেঙে গ্রাম জল ঢুকতে শুরু করেছে। কৃষি জমিতে ইতিমধ্যে জল ঢুকেও পড়েছে। জল ক্রমশ বাড়তে বাড়তে গ্রামের দিকে এগোতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় মেরামত না হলে ও আরও বৃষ্টি হলে জল বেড়ে গিয়ে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে গ্রামবাসীরা মনে করছেন।- নিজস্ব চিত্র